Book Name:Ala Hazrat Aik Peer e Kamil
নামাযও আদায় করে না, শরয়ী বিধানকে প্রয়োজন মনে করে না বরং অনেকে তো আল্লাহর পানাহ! শরীয়তকে নিয়ে মজা করে, এজন্য এই ধরনের ব্যক্তিকে পীর বানানো কখনো ঠিক নয়।
এই কারণেই আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর মুরিদের প্রতি কারামতের দৃষ্টি দিয়েছেন, মুরিদ আজমির শরীফ ছিলো, সে সেখানে ভুল করেছে, আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর বেরেলী শরীফ থেকেই কারামত স্বরূপ সেটার ব্যাপারে জানা হয়ে গেলো এবং তিনি দ্রুত স্বপ্নে তাশরিফ নিয়ে অসন্তুষ্টতা প্রকাশ করে নিজের মুরিদের সংশোধনের সুযোগও করে দিলেন।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখান থেকে এটাও জানা গেলো যে পীর বানানো অনেক উপকারী, এটার অনেক বড় একটি উপকার তো এটা যে যারা পীরে কামিল হবে, তিনি তাঁর মুরিদদের কখনো পদস্খলন হতে দেন না। দেখুন! ঐ যুবক পীরে কামিল আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রযা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর হাতে হাত রেখেছিলো, সুতরাং সে পথভ্রষ্টতা ও পথভ্রষ্টদের হাত থেকে বেঁচে গেলো।
আজকাল ফিতনার যুগ, আমাদেরও উচিত যে পীরের সকল শর্ত পাওয়া যায় এমন পীরে কামিলের হাতে হাত রাখা, এর বরকতে اِنْ شَآءَ الله পথভ্রষ্টতা থেকেও বেঁচে যাবেন এবং ঈমান হেফাযতের মাধ্যমও হয়ে যাবে।
আ’লা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমদ রযা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: নিশ্চয় বায়আত সুন্নাতে মাহবুবা (অর্থাৎ অনেক প্রিয় সুন্নাত)।
(ফাতাওয়ায়ে রযবীয়া, ২৬/৫৮৬)