Book Name:Masjid Ke Adaab
এই বর্ণনার আলোকে আমরা আমাদের ও আমাদের সমাজকে পরীক্ষা করি আমাদের মনের কোন এক কোণে কখনো কি এই কথা এসেছিল যে, মসজিদে গীবত করা, মসজিদে দুনিয়াবী কথা বলা, মুখ থেকে নোংরা দূর্গন্ধ বের হওয়ার কারন? কখনো কি এই কথার প্রতি আমাদের ধ্যান গিয়েছে যে, আমাদের মসজিদে অনর্থক কথা না বলা উচিৎ। স্মরণ রাখবেন! মসজিদ নির্মানের উদ্দেশ্য আল্লাহর স্মরণে মশগুল থাকা। হাদীসে পাকে রয়েছে; “যে ব্যক্তি আল্লাহ পাকের দিকে দাওয়াত প্রদানকারীর আওয়াজে লব্বাইক বললো এবং আল্লাহ পাকের মসজিদকে উত্তম ভাবে নির্মান করলো, তবে তার প্রতিদান আল্লাহ পাকের পক্ষ থেকে জান্নাতা রয়েছে।” আরজ করা হলো: ইয়া রাসূলাল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! মসজিদ সমূহ উত্তম ভাবে নির্মান কি? ইরশাদ করলেন: “এর মধ্যে আওয়াজ উঁচু না করা এবং কোন অনর্থক কথা না বলা।” (কানযুল উম্মাল, কিতাবুস সলাত, কিসমুল আকওয়াল, ৭/২৭৩, হাদীস- ২০৮৩৭) আমাদের বুযুর্গগণ মসজিদের আদবের প্রতি খুবই খেয়াল রাখতেন ও মসজিদে দুনিয়াবী কথা অপছন্দ করতেন।
বেআদবকে মসজিদ থেকে বের করে দিলেন:
হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام ঐ সমস্ত লোকদেরকে মসজিদে বসতে নিষেধ করতেন। যারা মসজিদের আদব জানে না। একবার হযরত ঈসা عَلَیْہِ السَّلَام মসজিদে কিছুলোক কে বসা অবস্থায় দেখলেন। যারা অনর্থক কথা বার্তা বলছিল। তখন তিনি নিজের চাদর ভাজ করে তাদেরকে প্রহার করলেন। আর সেখান থেকে