Book Name:Faizan e Imam Syuti رحمۃ اللہ علیہ
তখন তিনি বললেন: আজ তুমি এই কথা বলেছো, আজ থেকে আর কখনো এমন কথা বলবে না, তারপর তিনি একটি হাদীস উল্লেখ করে বললেন: একজন সাহাবীর কাছে ফেরেশতারা আসতেন এবং সালাম করতেন। একবার তিনি কোনো রোগে আক্রান্ত হলেন এবং তিনি তীব্র প্রয়োজনের কারণে এমন চিকিৎসা নিলেন, যা তাওয়াক্কুলের পরিপন্থী ছিল এবং হাদীসে তা থেকে নিষেধ করা হয়েছিল। সেই দিন থেকে তার কাছে ফেরেশতারা আসা এবং সালাম পেশ করা বন্ধ করে দিলো। এই বর্ণনা শুনিয়ে ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বললেন: আমারও এই ভয় হয় যে, এমন না হয় যে, আমি সুলতানের কাছে যাই এবং এই কারণে দিদারে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর নেয়ামত থেকে বঞ্চিত হয়ে যাই। (বাহজাতুল আবেদীন, পৃষ্ঠা ১৫৫)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখানে আমাদের জন্যও একটি শিক্ষা আছে। প্রায় প্রত্যেক আশিকে রাসূল মুসলমানের হৃদয়ে এই আকাঙ্ক্ষা থাকে যে, আহা! যদি স্বপ্নে দিদারে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নসীব হতো! ভেবে দেখার বিষয় হলো, আমরা আমাদের এই আকাঙ্ক্ষার জন্য কতটা পরিশ্রম ও চেষ্টা করি? নিঃসন্দেহে এটি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, রাসূলে আকরাম, নূরে মুজাসসাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যাকে ইচ্ছা, দিদারের নেয়ামত দ্বারা ধন্য করেন, কিন্তু একটু ভাবুন তো, আমরা কি আমাদের এই আকাঙ্ক্ষার জন্যও কোনো চেষ্টা করি? * যে ব্যক্তি অধিকহারে দরূদ শরীফ পড়ে, তার সম্পর্কে সুসংবাদ আছে যে, তার দিদারে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم নসীব হয়, আমরা কি অধিকহারে দরূদ শরীফ পড়ি? * যে ব্যক্তি সুন্নাত মেনে চলে, তার সম্পর্কে আশা করা যায় যে, প্রিয় আক্বা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তার প্রতি অনুগ্রহ করবেন, স্বপ্নে আগমন