Faizan e Imam Syuti رحمۃ اللہ علیہ

Book Name:Faizan e Imam Syuti رحمۃ اللہ علیہ

পিতাও একজন মহান আলিমে দ্বীন ছিলেন, মাদরাসায়ে শায়খুনিয়ায় পড়াতেন, মসজিদের ইমামও ছিলেন, খুবই নেককার এবং ইবাদতকারী ছিলেন, কুরআন তিলাওয়াতের খুবই আগ্রহী ছিলেন, সপ্তাহে একবার কুরআন খতম করতেন (হুসনুল মুহাযিরাতি ফি তারিখি মিসর ওয়াল কাহেরা, /৪৪১-৪৪২) * ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তখন মাত্র বছরের ছিলেন, যখন তাঁর শ্রদ্ধেয় পিতা দুনিয়া থেকে বিদায় নেন, অর্থাৎ তাঁর মুবারক শৈশব এতিম অবস্থায় কেটেছে তাঁর পিতার ওসিয়ত অনুযায়ী শায়খ কামালুদ্দীন হানাফী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁকে তাঁর তত্ত্বাবধানে রেখেছিলেন এবং তাঁর শিক্ষা প্রশিক্ষণের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন

(আল কাওয়াকিবুস সায়িরা, ১ম অংশ, পৃষ্ঠা ২২৭)

মাজযুব বুযুর্গের দোয়া

ইমাম সুয়ূতী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর গ্রামে একজন মাজযুব বুযুর্গ বাস করতেন, যার নাম ছিল শায়খ মুহাম্মদ ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শ্রদ্ধেয় পিতা এবং পরিবারের সবাই যেহেতু আওলিয়ায়ে কেরামের ভক্ত ছিলেন, তাই শায়খ মুহাম্মদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খেদমতে হাজির হওয়া তাঁদের নিয়মিত অভ্যাস ছিল ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন আমার পিতা জীবিত ছিলেন, একদিন আমাকে শায়খ মুহাম্মদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর খেদমতে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তিনি আমার জন্য বরকতের দোয়া করেছিলেন (হুসনুল মুহাজিরাতি ফি তারিখি মির ওয়াল কাহেরা, /৩৩৬)

سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! বোঝা গেল; নিজেদের সন্তানদেরকে আওলিয়ায়ে কেরাম এবং নেককারদের কাছে নিয়ে যাওয়া, তাদের জন্য বরকতের দোয়া করানো মুসলিমদের পুরনো অভ্যাস এবং এর অনেক বরকত নসীব হয়। দেখুন! ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর জন্য একজন মাজযুব বুযুর্গ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ থেকে দোয়া