Book Name:Faizan e Imam Syuti رحمۃ اللہ علیہ
লাভ হলো, তখন আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি কি জান্নাতী? ইরশাদ করলেন: হ্যাঁ (তুমি জান্নাতী)।
(জান্নাতে اِنْ شَآءَ الله প্রত্যেক মুসলমান যাবে, তবে কিছু মুসলমান এমন হবে যারা তাদের গুনাহের শাস্তি পাওয়ার জন্য প্রথমে জাহান্নামে যাবে, তারপর তাদেরকে জাহান্নাম থেকে বের করে জান্নাতে পাঠানো হবে)। সুতরাং ইমাম সুয়ূতী বলেন: আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলুল্লাহ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم! আমি কি বিনা আযাব ভোগ করে জান্নাতে যাব? ইরশাদ করলেন: لَکَ ذٰلِکَ অর্থাৎ হ্যাঁ! তোমার জন্য এমনই হবে।
(আল কাওয়াকিবুস সায়িরা, ১ম অংশ, পৃষ্ঠা ২২৯)
দিদারে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর আগ্রহ
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নেয়ামত পাওয়াও নিঃসন্দেহে একটি সৌভাগ্য, তবে সেই নেয়ামত রক্ষা করা অনেক বড় দক্ষতা। ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর এই নেয়ামত ছিল যে, তিনি জাগ্রত অবস্থায় দিদারে মুস্তফা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم লাভ করতেন। এই নেয়ামত যেন অব্যাহত থাকে, এটি থেকে যেন বঞ্চিত না হন, তার জন্য ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ খুব চিন্তিত থাকতেন এবং এর জন্য যদি ত্যাগ স্বীকার করতে হতো, তবে তা থেকেও পিছিয়ে যেতেন না।
এ কারণেই তিনি বাদশাহদের দরবারে যাওয়া পছন্দ করতেন না। সুলতান ক্বানসূ গৌরী, যে তৎকালীন বাদশাহ ছিলো, সে অনেক চেষ্টা করেছিলো যে, তিনি যেন তার দরবারে আসেন, এর জন্য সুলতান কঠোর মনোভাবও অবলম্বন করেছিলো, কিন্তু তিনি কখনো তার দরবারে যাননি। ইমাম সালেহ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ ইমাম সুয়ূতী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ভক্ত ছিলেন, তিনি বলেন: একদিন আমি আরয করলাম যে, আপনি সুলতানের সাথে দেখা করতে কেন যান না?