Book Name:Ala Hazrat Aur Naiki Ki Dawat
اَلْحَمْدُ لِلّٰه ঐ ব্যক্তি যে বিভ্রান্তির শিকার ছিলো, তা দূর হয়ে গেলো। কিছুদিন পর এক হাফিয সাহেব আ’লা হযরতের খিদমতে হাযির হয়ে আরয করলো- হুযুর, ঐ ব্যক্তি (যার ইলমে গায়ব নিয়ে সন্দেহ ছিলো) যখন এখান থেকে চলে যাচ্ছিল, সে রাস্তার মধ্যেই বলতে লাগলো- আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কথাগুলো আমার হৃদয় কবুল করেছে, এখনআমি اِنْ شَآءَ الله তাঁর মুরীদ হবো। (মালফূযাতে আ’লা হযরত, ৯০ পৃষ্ঠা)
ঐ হাফিয সাহেব যখন বলল যে ঐ ব্যক্তি মাসআলা বুঝতে পেরেছে এবং সে আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মুরিদ হতে চায়, তখন সায়্যিদী আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মাদানী ফুল পেশ করতে গিয়ে বললেন- দেখো, নম্রতার উপকারীতা কখনোই কঠোরতা দিয়ে পাওয়া যায় না। যদি ঐ ব্যক্তির সাথে কঠোর আচরণ করা হতো তবে তা কখনোই সম্ভব হতো না (অর্থাৎ কঠোরতার সাথে বোঝানো হলে সঠিক মাসআলা বোঝা সম্ভব হতো না এবং সঠিক দ্বীনি মাসআলা থেকে আরও দূরে সরে যেতো)। আরও বলেন- যেসব লোকের আক্বীদা مُذَبذَبْ (অর্থাৎ দূর্বল), তাদের সাথে নম্রভাবে কথা বলো যাতে তারা সঠিক পথে ফিরে আসে। (মালফূযাতে আ’লা হযরত, পৃষ্ঠা - ৯০)
মনে রাখবেন! যদি কোনো ব্যক্তি আকিদার ব্যাপারে বিভ্রান্তির শিকার হয় তবে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের উচিৎ তার সাথে তর্ক বিতর্ক না করা বরং তাকে কোনো আশিকানে রাসূল মুফতী সাহেবের খিদমতে নিয়ে যাওয়া, মুফতী সাহেব কুরআন ও হাদীসের আলোকে বুঝিয়ে দেবেন, اِنْ شَآءَ الله সংশোধনের পথ উন্মুক্ত হবে।