Book Name:Ala Hazrat Aur Naiki Ki Dawat
এই ঘটনা বর্ণনা করার পর আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন- হাদীসে পাকে রয়েছে, যে ব্যক্তি মন্দ কাজ দেখে সে যেনো নিজের হাত দ্বারা প্রতিহত করে, যদি তা করার ক্ষমতা না থাকে তবে সে যেনো মুখ দিয়ে বাধা দেয়, যদি মুখেও বাধা দিতে না পারে তবে যেনো অন্তরে খারাপ জানে আর এ হলো ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর । (মুসলিম, পৃষ্ঠা - ৪২, হাদীস- ৪৯)
اَلْحَمْدُ لِلّٰه আল্লাহ পাকের দয়ায় আমি এই হুকুমের মধ্যম পর্যায়ে আমল করেছি অর্থাৎ মুখে প্রতিরোধ করেছি এবং আল্লাহর রহমতে কারো আমার কাছে আসার সাহস হয়নি বরং এইভাবে নেকীর দাওয়াত দেওয়াতে এবং কোনো প্রকার ক্ষতি থেকে নিরাপদে থাকাতে ওখানকার উলামায়ে কিরাম আমাকে মুবারকবাদ জানিয়েছেন। (মালফূযাতে আ’লা হযরত, পৃষ্ঠা - ২০৩)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
নেকীর দাওয়াত হিকমতে আ’মলীর মাধ্যমে দিন
এখানে একটি ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে। مَاشَآءَالله
সায়্যিদী আ’লা হযরত رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ অনেক উঁচু ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তাঁর জ্ঞানগত মর্যাদা অনেক উঁচু পর্যায়ের ছিলো। দুনিয়ার বড় বড় আলিমগণ তাঁর ইলমের শান ও শওকত দেখে গুণমুগ্ধ হয়ে যেতেন। তাছাড়া আ’লা হযরত ওয়ালীয়ে কামিলও ছিলেন। তিনি যে এইভাবে খতীব সাহেবকে ধরেছেন এবং তাঁকে নেকীর দাওয়াত দিয়েছেন, এ কাজ কেবল আ’লা হযরত
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মতো উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের শোভা পায়। আমাদের মতো সাধারণ লোক যদি এইভাবে ইমাম ও খতীব সাহেবকে সংশোধন করে তাহলে তো বিপদ হতে পারে। একইভাবে যদি বড় কাউকে সংশোধন