Book Name:Ala Hazrat Aur Naiki Ki Dawat
ভুল ধরিয়ে দেয় অথবা নেকীর দাওয়াত দেয় তখন তা খুশিমনে মেনে নিয়ে নিজের সংশোধন করা উচিৎ। আমাদের এখানে সাধারণত মানুষ নষ্ট হয়ে যায়। নিজের বয়স, অবস্থান, পদ বা স্ট্যাটাস ইত্যাদির অন্তরালে নিজেকে হারিয়ে ফেলে এবং নিজেকে সংশোধন করা থেকে বঞ্চিত রয়ে যায় । কিছু হতভাগা তো সংশোধনকারীকে অনেক কটু কথাও শুনিয়ে দেয়, বলে- “নিজের বয়স দেখো, তোমার এখনো কতটুকু বুঝ হয়েছে? কালকের বাচ্চা হয়ে আমাকে বোঝাতে এসেছো? ইত্যাদি। এর কম লোকের সাবধান হওয়া উচিৎ। যখন কেউ নেকীর দাওয়াত দেয় তখন নিজেকে সংশোধন করা দরকার। কেননা যে ব্যক্তি নেকীর দাওয়াত শুনে জেদ করে বসে থাকে সে হলো নিকৃষ্ট লোক। তাফসীরে নঈমীতে রয়েছে- নিকৃষ্ট ব্যক্তি হলো সে - যে উপদেশ বাণী বা আল্লাহ পাকের নাম শুনে উল্টো জেদ করে বসে। (তাফসীরে নঈমী, পারা- ২, সূরা বাকারা, আয়াতের ব্যাখ্যা- ২০৬, খণ্ড - ২, পৃষ্ঠা- ৩৩৫)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
নেকীর দাওয়াতের অভ্যাস গড়ে তুলুন !
সায়্যিদী আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর শৈশবের এর ঘটনা থেকে আরেকটি মাদানী ফুল পাওয়া যায় তা হলো - একজন মুবাল্লিগ প্রতিটি ক্ষেত্রে মুবাল্লিগ। আমাদের উচিৎ নেকীর দাওয়াত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে থাকা। ভুল হয় না কার? আম্বিয়ায়ে কিরাম عَلَیْهِمُ السَّلَام ব্যতীত কোনো ব্যক্তিই মা’সূম নয়। কেউ বড়, কেউ ছোট। কেউ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যবসায়ী, গ্রাহক, মালিক অথবা কর্মচারী, সবারই ভুল হতে পারে। যদি আমরা পরিস্থিতি বুঝে, উপস্থিত ব্যক্তির মেজাজ বুঝে, হিকমতে আ’মলী