Book Name:Ibrat Ke Namonay
শিক্ষা গ্রহণের (উৎসাহ)
হায়! যদি আমরা শিক্ষার দৃষ্টি পেতাম। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন:
یُقَلِّبُ اللّٰہُ الَّیْلَ وَ النَّہَارَ ؕ اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَعِبْرَۃً لِّاُولِی الْاَبْصَارِ
(পারা ১৮, সূরা নূর, আয়াত ৪৪) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আল্লাহ পরিবর্তন ঘটান রাত ও দিনের,নিশ্চয় তাতে বুঝার ক্ষেত্র রয়েছে অর্ন্তদৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য ।
পারা: ৩০, সূরা নাযিআতে ফেরাউন এবং তার সৈন্যদের (Army) ডুবে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করার পর ইরশাদ করেন:
اِنَّ فِیْ ذٰلِکَ لَعِبْرَۃً لِّمَنْ یَّخْشٰی
(পারা ৩০, সূরা নাযিআত, আয়াত ২৬) কানযুল ঈমানের অনুবাদ : নিশ্চয় এর মধ্যে শিক্ষা লাভ হয় তারই,যে ভয় করে।
اَللهُ اَكْبَرُ এই আল্লাহ পাককে ভয়কারী, উলুল আবসার (অর্থাৎ চিন্তা-ভাবনাকারী, শিক্ষার দৃষ্টিসম্পন্ন), এরা আল্লাহ পাকের (চিহ্ন) বা Signs দেখে শিক্ষা গ্রহণ করে। দিন এলো, চলে গেলো, সূর্য উঠলো, অস্ত গেলো, রাত এলো, কেটে গেলো, তারা উঠলো, অস্ত গেলো এই সবকিছু, পৃথিবীর (Universe) প্রতিটি কণা একটি খোলা বই, এতে আমাদের জন্য উপদেশ আছে, শিক্ষা আছে। হায়! যদি আমরা ভয়কারী, শিক্ষা গ্রহণকারী, উলুল আবসার (অর্থাৎ চিন্তা-ভাবনাকারী, দুনিয়াকে শিক্ষার দৃষ্টিতে প্রত্যক্ষকারি) হয়ে যাই।
শিক্ষার দৃষ্টি সম্পর্কিত আউলিয়ায়ে কেরামের (বাণী)
হযরত হাতেম আসম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কে প্রশ্ন করা হলো: মানুষ اَھْلِ اِعْتِبَار (অর্থাৎ শিক্ষা গ্রহণকারী) কীভাবে হয়? তিনি বললেন: যখন সে দুনিয়ার প্রতিটি জিনিসের পরিণামের উপর দৃষ্টি রাখে এবং চিন্তা করে যে, অচিরেই এই জিনিস ধ্বংসের ঘাটে নেমে যাবে এবং এই জিনিসের মালিকও খুব শীঘ্রই কবরে দাফন হয়ে যাবে। (তানবীহুল মুগতাররীন, পৃষ্ঠা: ৫৭)