Book Name:Ibrat Ke Namonay
হয়েছে, যার জন্য তাকে আখিরাতে শাস্তি দেওয়া হবে। এতটুকু বলার পর সর্দার আরেকটি মাথার খুলি উঠালো এবং বললো: হে যুলকারনাইন! আপনি কি জানেন এটা কে? তিনি বললেন: জানি না, বলো! এটা কে? সর্দার বললো: এও একজন বাদশাহ ছিল। সে পূর্ববর্তী বাদশাহের জুলুম ও বাড়াবাড়ি দেখেছিল, তাই সে নম্রতা অবলম্বন করেছিল, আল্লাহ পাককে ভয় করতো এবং (ন্যায়) ও (ইনসাফ) এর সাথে শাসন করতো। অবশেষে তারও মৃত্যু আসলো, তারও আমল গণনা করা হয়েছে, আখিরাতে তাকে সেই আমলের প্রতিদান দেওয়া হবে।
(মুকাশাফাতুল কুলুব, পৃষ্ঠা: ২১৬)
اَللهُ اَكْبَرُ প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমি এটাই বলি: এই দুনিয়া আয়েশ ও আরামের স্থান নয়, বরং শিক্ষণীয় জগৎ ও উপদেশ। এখানকার প্রতিটি কণা একেকটি আলাদা গল্প বহন করে। এই চাঁদ, সূর্য, তারা, এই উজ্জ্বল দিন, এই অন্ধকার রাত, এই অস্তগামী যৌবন, এই উদীয়মান বার্ধক্য, এই উঠন্ত জানাযা, এই ক্রমবর্ধমান কবরস্থানের (বসতি) সব দিকেই শুধু শিক্ষা আর শিক্ষা। এমনকি আমাদের ঘর যেখানে আমরা থাকি, আমাদের নিজেদের অস্তিত্ব এই সবকিছুতেই শিক্ষা আছে, উপদেশ আছে...!! যদি আমরা এই উপদেশ গ্রহণকারী হয়ে যাই। আল্লাহ পাক কুরআনুল কারীমে ইরশাদ করেন:
وَّ سَکَنْتُمْ فِیْ مَسٰکِنِ الَّذِیْنَ ظَلَمُوْۤا اَنْفُسَہُمْ وَ تَبَیَّنَ لَکُمْ کَیْفَ فَعَلْنَا بِہِمْ
(পারা ১৩, ইবরাহীম, আয়াত ৪৫) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এবং তোমরা তাদের ঘরগুলোতে বসবাস করতে, যারা নিজেদের অনিষ্ট করেছিল এবং তোমাদের নিকট খুবই সুষ্পষ্ট হয়েছিল আমি তাদের সাথে কেমন আচরন করেছি।