Book Name:Ibrat Ke Namonay
ছিল না, তারা কবর তৈরি করে রেখেছিল। যখন সকাল হতো, তখন তারা কবরের দিকে আসতো, সেগুলোর স্মৃতি তাজা করতো, সেগুলো পরিষ্কার করতো এবং সেগুলোর কাছে নামায পড়তো। এরা ছিল অদ্ভুত লোক, ঘাস, পাতা এবং শাক-সবজি ইত্যাদি খেয়ে পেট ভরতো এবং আল্লাহ পাকের ইবাদতে ব্যস্ত থাকতো। হযরত সিকান্দার যুলকারনাইন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাদের সর্দারের কাছে তাশরীফ নিয়ে গেলেন, সালাম-দোয়া ইত্যাদির পর বললেন: আমি তোমাদের এমন অবস্থায় দেখছি যে, কোনো জাতিকে এই অবস্থায় দেখিনি। সর্দার বললো: কোন অবস্থার কথা বলছেন? তিনি বললেন: এটাই যে, তোমাদের কাছে দুনিয়াবী কোনো মাল-সামান নেই। সর্দার বললো: আমরা সোনা-চাঁদি জমা করাকে খারাপ মনে করি, কারণ যে এই জিনিসগুলো পায়, সে সেগুলোতে মগ্ন হয়ে আখিরাতকে ভুলে বসে। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জিজ্ঞাসা করলেন: তোমরা কবর কেন তৈরি করে রেখেছো? সর্দার বললো: এটা এই জন্য যাতে আমরা যখন কবর দেখি, তখন সেগুলোর স্মৃতি তাজা হয় এবং এর মাধ্যমে আমরা দুনিয়ার লোভ থেকে বিরত থাকি। তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ জিজ্ঞাসা করলেন: তোমরা ঘাস, পাতা ও শাক-সবজি ইত্যাদি কেন খাও? সর্দার বললো: খাবার যখন গলা থেকে নেমে যায় (সেটা যেমনই হোক না কেন) তারপর তার কোনো স্বাদ আর বাকি থাকে না।
এই প্রশ্ন-উত্তরের পর সর্দার হাত বাড়িয়ে একটি মাথার খুলি উঠালো এবং বললো: হে যুলকারনাইন! আপনি কি জানেন এটা কে? তিনি বললেন: না। সর্দার বললো: এ একজন বাদশাহ ছিল। আল্লাহ পাক তাকে দুনিয়াবাসীর উপর বাদশাহী দিয়েছিলেন, কিন্তু সে জুলুম-অত্যাচার করেছিল এবং অবাধ্য হয়ে গিয়েছিল। তারপর কীহলো, অবশেষে একটি সময় আসলো, তারও রূহ বের হয়ে গেলো এবং সে মৃত্যুর ঘাটে নেমে গেলো। এখন সে রাস্তায় পড়ে থাকা পাথরের মতো একেবারে অকেজো। হ্যাঁ! তার আমল গণনা করা