Book Name:Qurbani Ek Ba Maqsad Fariza
হে আশিকানে রাসূল! প্রতিটি কাজের পূর্বে ভালো ভালো নিয়্যত করার অভ্যাস গড়ুন, কেননা ভালো নিয়্যত বান্দাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। বয়ান শুনার পূর্বেও ভালো ভালো নিয়্যত করে নিন! যেমন; নিয়্যত করুন! * ইলমে দ্বীন শিখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালিন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো
* নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! যিলহজ্ব মাস হলো আরবী বছরের শেষ ও বরকতময় একটি মাস। হযরত আবু সাঈদ খুদরী رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বর্ণনা করেন: আল্লাহর সর্বশেষ নবী, রাসূলে আরাবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন, سَيِّدُ الشُّهُورِ رَمَضَانُ، وَأَعْظَمُهَا حُرْمَةً ذُو الْحِجَّةِ অর্থাৎ মাসগুলোর সর্দার হলো রমযান মাস এবং যিলহজ্ব হলো পবিত্রতা ও সম্মানের দিক থেকে সবচেয়ে মহিমান্বিত মাস। (শুয়াবুল ঈমান: ৩/৩৫৫ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৭৫৫)
হযরত কা’বুল আহবার رَضِیَ اللهُ عَنْہُ যাকে “হাফিযুল কিতাবাইন” বলা হয়, তিনি পবিত্র কুরআনেরও একজন আলিম ছিলেন এবং তাওরাত শরীফেরও আলিম ছিলেন। তিনি বলেন: আল্লাহ পাক সময় নির্ধারণ করেছেন, অতএব আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় সময় হলো ৪টি মহিমান্বিত মাস (অর্থাৎ যিলকদ, যিলহজ্ব, মহররম এবং রজব)। ঐ মাস গুলোর মধ্যে আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় মাস হলো যিলহজ্ব এবং যিলহজ্বের প্রথম দশ দিন (যাকে আশরায়ে যিলহজ্ব বা হারামের দশক বলা হয়, এগুলো) আল্লাহ পাকের নিকট সর্বাধিক প্রিয় দিন।
(শুয়াবুল ঈমান: ৩/৩৫০ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৭৪০)