Book Name:Ilm e Deen Kay Fazail
শর্ত আছে। সেগুলো পূরণ করা জরুরী। সায়্যিদী আলা হযত ইমামে আহলে সুন্নাত শাহ ইমাম আহমদ রযা খাঁন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন, * ঐ জ্ঞান যেখানে কুফরী বিশ্বাসের শিক্ষা আছে, সেগুলো পড়া হারাম। * হ্যাঁ, জায়িয জ্ঞানসমূহ (যেগুলোতে ইসলামী আক্বাঈদ ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে কোনো কথা থাকবে না, সে সব জ্ঞানসমূহ) জায়িয চাকুরীর জন্য পড়া জায়িয। * তবে সেগুলোতে এমনভাবে মশগুল না হওয়া উচিৎ, যার ফলে দ্বীনের প্রয়োজনীয় ইলম শিখতে পারা না যায়। নতুবা ঐ দুনিয়াবী জ্ঞান, যা ফরয ইলমে দ্বীন শিখা থেকে বিরত রাখে, তা হারাম। * তার সাথে এটাও জরুরী যে, যেনো নিজের দ্বীন ও চরিত্রের উপর প্রভাব না পড়ে। * ইসলামী আকাঈদ ও চেতনার উপর যেনো অটল থাকে এবং যেনো ইসলামী চালচলনের উপর স্থির থাকে। এসব শর্তাবলী পাওয়া গেলে জায়িয রিযিক হাসিলের উদ্দেশ্যে জায়িয দুনিয়াবী জ্ঞান শিখতে অসুবিধা নেই। (ফতোওয়ায়ে রযবিয়া, ২৩/৭০৮-৭০৯)
অপর এক জায়গায় তিনি বলেন, প্রত্যেক ব্যক্তি যে অবস্থায় আছে, তা অনুযায়ী শরয়ী আহকাম সম্পর্কে যেনো সে অবগত থাকে, এটা ফরযে আইন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই ইলম অর্জন করবে না; ততক্ষণ ভূগোল, ইতিহাস ইত্যাদি (দুনিয়াবী জ্ঞান) শিখে সময় অপচয় করা জায়িয নেই।
(ফতোওয়ায়ে রযবিয়া, ২৩/ ৬৪৭)
তাই যারা দুনিয়াবী জ্ঞান শিখে, তাদের উপর আবশ্যক হলো, যেনো প্রথমে প্রয়োজনীয় দ্বীনি ইলম শিখা; শুধু ঐসব জ্ঞান অর্জন করা যেগুলো কুরআন হাদীস ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। যেসব জ্ঞানে দ্বীনের বিরুদ্ধে কথাবার্তা আছে, সেসব যেনো কখনো না পড়ে। এরই সাথে দুনিয়াবী জ্ঞান পড়ার সাথে