Book Name:Hilm e Mustafa
মাধ্যমে একক প্রচেষ্টা কররেন। আর মন্দ স্বভাব থেকে প্রতিহত করতে কেমন সুন্দর পদ্ধতিতে ঐ যুবক কে সংশোধন করলেন। এই জন্য নেকীর দাওয়াত দেওয়ার জন্য হিকমত অবলম্বন করে ধৈর্যের বহিঃ প্রকাশ করা উচিৎ। কেননা, নম্রতায় যে কাজ হয় তা রাগ দ্বারা হয় না। আর মুবাল্লিগকে তো মোমের চেয়ে বেশি নরম আর বরফের চেয়ে বেশি ঠান্ডা থাকা উচিৎ। তিরষ্কার বকাবকি অশালীন কথার দ্বারা সংশোধন খুবই কঠিন! হায় আফসোস! আমাদেরও যদি এই তাওফিক হয়ে যায় যে, যখনি কাউকে গুনাহে লিপ্ত দেখতে পাবো। নামাযে গড়িমসি করতে দেখবো। মিথ্যা, গীবত, চুগলী, মুসলমানের পিছনে তার সমালোচনা করে এবং তার মন্দ করে নিজেই গীবতের গভীর কুপে লাপ না দিয়ে তাকে গুনাহের স্তুপ থেকে বের করার চেষ্টা করবো। অবশ্য নম্রতা ও ভালোবাসা দ্বারা তাকে বুঝালে আখিরাতের সাওয়াবের ভান্ডারের স্তুপ হবে। আমরা একনিষ্ট নিয়্যতের সাথে যদি কাউকে বুঝায়, তবে اِنْ شَآءَ الله এর উপকার অবশ্যই হবে।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! নিজের ভিতর নম্রতার ভিত্তি তৈরী করতে এবং রাগের খারাপ অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে কিছু পদ্ধতি ও চিকিৎসা শুনে নিন এবং এগুলোর উপর আমল করার ও চেষ্টা করুন:
(১) সর্ব প্রথম আল্লাহ পাকের দরবারে সত্যিকার অন্তরে বিনীতভাবে দোয়া করুন। কেননা, আল্লাহ পাকের সামর্থ্য ছাড়া মানুষ কোন গুনাহ্ থেকে বাঁচতে পারে না।
(২) নম্রতার অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য এর সাথে সম্পৃক্ত ফযীলত সমূহ পড়ুন এবং বুযুর্গানে দ্বীনগণের رَحِمَہُمُ اللهُ عَلَیْہِمْ ঘটনাবলী অধ্যয়ন করুন।