Hilm e Mustafa

Book Name:Hilm e Mustafa

সহনশীলতার পরিচয় তার গুরুত্ব:

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর পবিত্রম গুনাবলীর মধ্যে থেকে একটি গুন হলো, সহনশীলতা সহনশীলতার অর্থ হলো; নিজের অভ্যাসের মধ্যে থেকে রাগ কে নিয়ন্ত্রন করা (সীরাতে রাসূল আরবী, ২৯৩ পৃষ্ঠা) অর্থাৎ রাগ আসলে তা দমন করে ফেলাকে সহনশীলতা বলা হয় স্মরণ রাখবেন! রাগ একটি মানবীয় স্বভাবের অন্তর্ভূক্ত বিষয় এটা একটা অনিচ্ছাকৃত কাজ এতে আমাদের কোন দোষ নেই কিন্তু রাগে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়াটা মন্দ কাজ এই কারণে যখনি রাগ আসবে তখন সহনশীলতার প্রকাশ করে তাকে দমন করা উচিৎ রাগকে দমন করার এবং সহনশীলতা অবলম্বণ করার অসংখ্য ফযীলত রয়েছে এই প্রসঙ্গে নবী করীম, রউফু রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর দুটি বাণী শ্রবণ করি

    () তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সে, যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করে এবং সবচেয়ে বেশি ধৈর্যশীল সে যে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ক্ষমা করে দেয় (কানযুল উম্মাল ২০৭/ হাদীস ৭৬৯৪)

    () তোমরা কি আল্লাহ পাকের ইজ্জত বুর্যুগী চাও সাহাবায়ে কিরামগণ عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان আরয করলেন: সেটা কিভাবে? ইরশাদ করলেন: যে তোমাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সাথে সর্ম্পক বজায় রাখো যে তোমাদের বঞ্চিত করে তাকে দান করো, যে অজ্ঞতা প্রদর্শন করে, তোমরা তার সাথে সহনশীলতা অবলম্বণ করো

(মওসুয়াতিল ইমামে ইবনে আবিদ দুনিয়া কিতাবুল হিলম ২২/, হাদীস: )

্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! হাদীস শরীফের মধ্যে সহনশীলতা ও ধৈর্যপরায়নের ব্যাপারে কেমনি উৎসাহ দান করা হয়েছে। আমাদেরও এগুন অর্জন করার চেষ্টা করা উচিত। প্রাথমিক অবস্থার অবশ্য একটু কঠিন মনে হবে,