Book Name:Nematon ka Shukar Ada Karnay ka Tariqa
সকল মুসলমানের উচিৎ, তাদের যখনই কোন বিপদ আসে এবং কোন নীপিড়ন বা কষ্টে ভোগেন তখন ধৈর্যধারন করা এবং আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টিতে সন্তুষ্ট থাকা আর অধৈর্য না হওয়া।
সদরুশ শরীয়া মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: “অনেক কড়া একটি কথা যা সকলেই জানে যে, কেউ যতই অমনোযোগী হোক না কেন, কিন্তু যখন (সে কোন কষ্ট পায় বা সে কোন বিপদ এবং) রোগে ভোগে তখন সে কিভাবে আল্লাহ পাককে স্মরন করে এবং তাওবা ও ইস্তিগফার করতে থাকে। আরে এ তো অনেক বড় মর্যাদাবানদের বৈশিষ্ট্য যে, তারা কষ্টকেও সেইভাবে স্বাগত জানায়, যেভাবে আনন্দকে স্বাগত জানাতো। কিন্তু আমাদের মতো গুনাহগার কমপক্ষে এটাতো করি যে, (যখন কোন বিপদ বা কষ্ট আসে তবে) ধৈর্যধারণ করি এবং কান্না-কাটি করে এর কারণে অর্জিত সাওয়াব হাত ছাড়া না করি আর এটুকু সকলেই জানে যে, অধৈর্য হলে তো আর আগত বিপদ কেটে (চলে) যায় না বরং অধৈর্যের কারণে হাদীসে মুবারাকায় বর্ণিত প্রতিদান ও সাওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়াটাও আরেকটি বিপদ।
(বাহারে শরীয়াত, ১/৭৯৯। সীরাতুল জিনান, ১/২৫৫)
আমাদেরও উচিৎ, আল্লাহ পাক আমাদের যা যা নেয়ামত দ্বারা ধন্য করেছেন তাতে সন্তুষ্ট থেকে তাঁর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা, কেননা নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করার তৌফিক অর্জিত হওয়াও একটি নেয়ামত। হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام আরয করলো: হে আল্লাহ পাক! আমি তোমার কৃতজ্ঞতা কিভাবে আদায় করবো যে, আমার কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করাও তো তোমার একটি