Book Name:Mahboobiyat e Mustafa
কানযুল ঈমানের অনুবাদ: আপনার প্রতিপালক আপনাকে পরিত্যাগ করেননি এবং না অপছন্দ করেছেন। (পারা: ৩০, সূরা আদ—দুহা, আয়াত: ৩)
এখন এখানে বোঝার বিষয় হলো, আল্লাহ পাক কাফেরদের কথা খণ্ডন করে দিয়েছেন যে, কিছুদিন ওহী বন্ধ থাকাটা এই কারণে নয় যে আল্লাহ পাক আপনাকে ছেড়ে দিয়েছেন, বরং এর হিকমত অন্য কিছু। এখন সেই হিকমতগুলো কী? ওলামায়ে কেরাম বলেন: ওহী নাযিল হওয়া কোনো সাধারণ ব্যাপার ছিল না। আল্লাহ পাক কুরআনে করীমে বলেছেন যে, যদি এই কুরআন পাহাড়ের (Mountain) উপর নাযিল করা হতো, তবে তার ভারে পাহাড় চূর্ণবিচূর্ণ (Crumble) হয়ে যেত। অর্থাৎ, ওহী আসা এতটা ভারী হয়। তাই আল্লাহ পাক তার প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর উপর একবারে (অর্থাৎ এক সাথে) ওহী নাযিল করেননি, বরং প্রথমে ওহী আসা শুরু হয়, তারপর কিছু সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়, আবার ওহী শুরু হয়, আবার কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়। এভাবে ধীরে ধীরে ওহীর ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়। কেন? যাতে ó প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর কষ্ট না হয় ó তাঁর মুবারক অন্তরে বোঝা না বাড়ে ó তাঁর পবিত্র অন্তরে প্রশান্তি ও স্থিরতা থাকে এবং ó ওহীর প্রতি আগ্রহও বাড়তে থাকে।
! اَلله! اَللهচিন্তা করুন! আল্লাহ পাকের তার প্রিয় মাহবুব
صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি কী অপূর্ব ভালবাসা! প্রিয় মাহবুব صَلَّی
اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর মুবারক অন্তরে বোঝা হোক, তাঁর কষ্ট হোক, এটা আল্লাহ পাকের কাছে কখনোই পছন্দনীয় নয়। তাই ধীরে ধীরে (Gradually) ওহীর ধারাবাহিকতা রাখা হয়েছিল।