Book Name:Ala Hazrat Aur Naiki Ki Dawat
মানুষ যদি জমিদার, ধনী, বয়সে বড় হয় তখন কিছু কিছু লোকের মাঝে বড়াই, গাম্ভীর্য ও কিছুটা অহংকার সৃষ্টি হয় আর সামাজিক কর্মকাণ্ডে মানুষ প্রতিবেশীর সামনে নিজের ঠাট-বাট দেখানোর চেষ্টা একটু বেশিই করে। কিন্তু আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর ঐ জমিদার ও বয়স্ক প্রতিবেশী হাজী মুহাম্মদ শাহ ছিলেন অন্যরকম। সৈয়দ কানাআত আলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন- একদিন দেখলাম হাজী মুহাম্মদ শাহ জমিদার, বয়সে বড় হওয়া সত্ত্বেও আ’লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর আস্তানা ঝাড়ু দিচ্ছেন। সায়্যিদী কানাআত আলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর তা পছন্দ হলো না, দ্রুত সামনে এসে তাঁর হাত থেকে ঝাড়ু নেওয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু হাজী সাহেব ঝাড়ু ফেরত না দিয়ে বললেন- বাবা! এ আমার জন্য গর্বের বিষয় যে আমি আমার পীর সাহেবের আস্তানা ঝাড়ু দিচ্ছি।
সায়্যিদ কানাআত আলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অবাক হলেন, তিনি তখনো জানতেন না যে হাজী মুহাম্মদ শাহ সাহেবও আ’লা হযরতের মুরিদ। তাঁর অবাক হওয়া দেখে হাজী সাহেব বললেন- আমি বয়সে আ’লা হযরতের বড়। আমি তাঁর শৈশবও দেখেছি, যৌবনও দেখেছি আর এখন বার্ধক্যও দেখছি। আমি তাঁকে প্রতিটি কালে একইরকম দেখতে পেয়েছি। তখন গিয়ে হাতে হাত রেখেছি। বৃদ্ধ হলে তো সবাই বুযুর্গ হয়ে যায়।আ’লা হযরতকে শৈশব থেকেই দেখছি তিনি খুব প্রসিদ্ধ এবং অনন্য ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
(জাহানে ইমাম আহমদ রযা, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ২০৮, উদ্ধৃত হায়াতে আ’লা হযরত, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ১০৮)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد