Book Name:Data Hazoor Aur Adab Ki Taleem
বলল: আমি তো ফিরে আমার বন্ধুদের কাছেই যাব। যদি তারা নেককার হয়, তবে আমিও নেককার হয়ে যাব, আর যদি তারা খারাপ হয়, তবে তাদের মন্দ স্বভাব আমার কাছেও পৌঁছাবে। তাই আমি আমার বন্ধুদের জন্য দোয়া করছি। (কাশফুল মাহজুব, পৃষ্ঠা: ৪৯৯)
জীবনের বিভিন্ন আদবের মধ্যে মেহমানদারির আদবও রয়েছে। দাতা হুযুর رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: মেহমানদারির আদবের মধ্যে একটি হলো, যখন কোনো মুসাফির আসে, তখন খুশি হওয়া। তার সম্মান করা, আদব ও সম্মানের সহিত তাকে স্বাগত জানানো। আল্লাহ পাকের নবী হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام অত্যন্ত মেহমানদার ছিলেন। একবার কিছু ফেরেশতা মানুষের রূপে তাঁর কাছে এলেন। হযরত ইব্রাহিম عَلَیْہِ السَّلَام তাঁদের চিনতে পারেননি, তবুও তাঁদের স্বাগত জানালেন, তাঁদের বসালেন, দ্রুত খাবার তৈরি করিয়ে মেহমানদের সামনে উপস্থাপন করলেন। আগত মেহমানরা তো ফেরেশতা ছিলেন এবং ফেরেশতারা খাওয়া দাওয়া করে না। যখন ফেরেশতারা খাবার খেলো না, তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, তাঁরা ফেরেশতা। আল্লাহ পাক কুরআন মজীদে এই ঘটনাটি এভাবে বর্ণনা করেছেন:
وَ لَقَدْ جَآءَتْ رُسُلُنَاۤ اِبْرٰهِیْمَ بِالْبُشْرٰى قَالُوْا سَلٰمًاؕ-قَالَ سَلٰمٌ فَمَا لَبِثَ اَنْ جَآءَ بِعِجْلٍ حَنِیْذٍ(۶۹)
(পারা ১২, সূরা হুদ, আয়াত ৬৯) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: এবং নিশ্চয় আমার ফিরিশ্তারা ইব্রাহীমের নিকট সুসংবাদ নিয়ে এলো। তারা বললো। ‘সালাম’। সে বললো, ‘সালাম’। অতঃপর অল্পক্ষণ বিলম্ব করেনি, একটা ভাজা করা গো-বৎস নিয়ে এলো।