Book Name:Naik Amal Ke Dunyawi Faiday
(পারা ৪, সূরা আলে ইমরান, আয়াত ৪) কানযুল ঈমানের অনুবাদ: তোমরা কখনো পূন্য পর্যন্ত পৌঁছবে না যতক্ষণ আল্লাহর পথে আপন প্রিয় বস্তু ব্যয় করবে না।
সে সিদ্বান্ত নিয়ে নিল যে, এই উটনী এবং এর বাচ্চাকে আল্লাহ পাকের রাস্তায় সদকা করবো। অতঃপর তার এই সিদ্বান্ত কার্যকর করার জন্য উটনী ও উটনীর বাচ্চাকে সাথে নিল এবং তার এক প্রতিবেশীর ঘরে পৌঁছল, এই প্রতিবেশী খুবই গরীব ছিল, তার সাতটি কন্যা ছিল। ইবনে জুদয়ান দরজা করাঘাত করলেন, প্রতিবেশী বাহিরে বের হল, ইবনে জুদয়ান উটনীর রশি প্রতিবেশীর হাতে দিয়ে বললেন, ভাই! এটা রাখ....!! এটা আমার পক্ষ থেকে তোহফা (উপহার), খুশিতে প্রতিবেশীর চেহারা উদ্ভাসিত হল, নিশ্চয় সে মনে মনে অনেক দোয়াও করল হয়ত। ইবনে জুদয়ান উটনী সদকা করে পুনরায় ফিরে আসলেন, দিন অতিবাহিত হল, বসন্তকাল শেষ হল, হেমন্তকাল এসে গেল, গাছের পাতা ঝরে গেল, তীব্র আকারে গরম পড়তে শুরু করল, মরুভূমিতে পানির স্বল্পতা দেখা দিল, লোকেরা এক ঢোক পানির আশায় ব্যাকুল, এমতাবস্থায় একদিন ইবনে জুদয়ান তার ছেলেদেরকে সাথে নিয়ে পানির অন্বেষণে বের হলেন, অনেক দূরে কোন এক জায়গায় জমিনের নিচে তিনি একটি গুহা দেখতে পেলেন, ইবনে জুদয়ান ধারনা করলেন যে, অবশ্যই সেখানে পানি থাকবে। অতঃপর তিনি তার ছেলেদের বাহিরেই দাঁড় করালেন, স্বয়ং নিজে ভিতরে প্রবেশ করলেন, আশা তো ছিল যে, পানি পাবেন কিন্তু এখানে পানি নেই বরং কাঁদামাটি ছিল। ইবনে জুদয়ান কাঁদামাটিতে আটকে গেলেন, ছেলেরা বাহিরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছে, যখন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হল, ইবনে জুদয়ান ফিরে আসলেন না, তখন ছেলেরা মনে করল যে, তাদের বাবা জীবিত নেই, তিনি জমিনের নিচে গুহায় কোথাও আটকে মৃত্যুবরণ করেছেন। ছেলেরা ঘরে ফিরে আসল, বাবার উত্তরাধিকার বন্টন শুরু হল, সেই মূহুর্তে তাদের মনে পড়ল যে, ইবনে জুদয়ান প্রতিবেশীকে একটি উটনী উপহার দিয়েছিলেন, লোভী ছেলে উটনী ফেরত আনতে প্রতিবেশীর ঘরে গেল, যখন প্রতিবেশী সমস্ত ঘঠনা শুনল তখন সে উটনী তাকে ফিরিয়ে দিল স্বয়ং নিজে তাঁর মুহসীনকে (অনুগ্রহকারীকে খুঁজতে বের হল, যখন ওই প্রতিবেশী ওই গুহায় পৌঁছল যেখানে ইবনে জুদয়ান হারিয়ে গিয়েছিলেন, তখন সে তার মুহসীনকে (অনুগ্রহকারী)