Book Name:Naik Amal Ke Dunyawi Faiday
ওলামায়ে কেরাম বলেন: সেই নেককার ব্যক্তির নাম ছিল কাশেহ। আর সে এই এতিম বাচ্চাদের অষ্টম বা দশম পূর্ব পুরুষ ছিল। (তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ১৬, সূরা কাহাফ, আয়াত ৮২, খন্ড: ৬, পৃঃ ২৫)
سُبْحَانَ الله এটাই হল নেক আমলের বরকত.....!! প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: কোনো ব্যক্তি নেককার হওয়ার কারণে আল্লাহ পাক তার বংশ পরম্পরাকে উন্নতি করে দেন এবং তার বংশ এমনকি তার প্রতিবেশীদেরকেও সুরক্ষিত রাখেন। (তাফসীরে সীরাতুল জিনান, পারা ১৬, সূরা কাহাফ, আয়াত ৮২, খন্ড: ৩, পৃঃ ১৭৪)
হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ তাঁর সন্তানকে বলতেন, পুত্র! আমি তোমার কারণে অধিক নামায পড়ে থাকি, যাতে আল্লাহ পাক এই নামাযের সদকায় তোমার হেফাযত করেন।
(মাজমুয়ে রসাইল ইবনে রজব, খন্ড ৩, পৃঃ ১০০)
سُبْحَانَ الله প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! * আমরাও আমাদের সন্তানদের হেফাযত করি * তাদের জন্য চিন্তায় থাকি * শিশু জন্মগ্রহণ করে বরং তার জন্মের পূর্বেই তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিই * আমাদের সন্তান মুখাপেক্ষী না থাকুক * তার কোন জিনিসের যেন ঘাটতি না থাকে * সে বড় লোক হোক * তাকে যেন অন্যের দয়ায় থাকতে না হয় * এর জন্য পরিকল্পনা করে, সন্তান পাওয়ার পর মানুষ আগের তুলনায় অধিক উপার্জনের চেষ্টা শুরু করে দেয়, ভাল কথা, সন্তানদের জন্য চিন্তা করা উচিত, কিন্তু বুযুর্গদের ধরন দেখুন কেমন অনন্য হয়ে থাকে....!! সন্তান যেন বিপদ আপদ, বালা মুছিবত, দারিদ্রতা, অভাব ইত্যাদি থেকে নিরাপদ থাকে। আল্লাহ পাক সন্তানদের হেফাযত করুক, এই উদ্দেশ্যে হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়্যিব رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অধিক নামায আদায় করতেন। سُبْحَانَ الله কেমন মহিমা....!!
আল্লাহ পাক আমাদেরকেও তাওফিক দান করুক। * আল্লাহ পাক সন্তানের নিয়ামত দ্বারা ধন্য করুক, এখন থেকে দুই রাকাত নফল নামায পড়া শুরু করে দিন * আগে সদকা করতেন, এখন সদকার সংখ্যা বাড়িয়ে দিন * ১ পারা কোরআনুল করীমের তিলাওয়াত করতেন এখন ২ পারা শুরু করে দেন * সন্তানের নামে নেকী করা শুরু