Naik Amal Ke Dunyawi Faiday

Book Name:Naik Amal Ke Dunyawi Faiday

ছিল, যত সম্পদ তার কাছে ছিল সম্ভবত বর্তমানে কারো কাছে এত সম্পদ নেই কিন্তু এই ধন-সম্পদ কি তার জন্য নেয়ামত ছিল....!! এগুলি তার জন্য মুসিবত ছিল যদি আমরা ভালো নিয়্যতের অভ্যাস বানিয়ে নেই তবে এর বরকতে اِنْ شآءَ الله দুনিয়াতে প্রাপ্ত নেয়ামত, সফলতা মুসিবত হওয়া থেকে নিরাপদ হয়ে যাবে দেখুন! দুনিয়ার জন্য উপার্জিত সম্পদ আখিরাতের ধ্বংসের কারণ, যদি আমরা সম্পদ উপার্জনে ভালো নিয়্যত করে নিই তবে এই সম্পদ আখিরাতে নাজাতের মাধ্যম হয়ে যাবে

 

সে আল্লাহ পাকের রাস্তায় রয়েছে:

    মুজামু সগীরের বর্ণনা: একদিন সকালে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم  সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان দের সাথে উপবিষ্ট ছিলেন, একজন শক্তিশালি সুঠাম দেহের অধিকারী যুবক উপার্জনের জন্য কোথাও যাওয়ার সময় সে দিক দিয়ে অতিক্রম করল, সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان তাকে দেখে বললেন: হায়! তার যৌবন এবং শক্তি যদি আল্লাহ পাকের রাস্তায় ব্যয় হত! এতে নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করলেন: এমনটি বলো না! কারণ যদি সে প্ররিশ্রম চেষ্টা এই জন্যই করে যে, নিজেকে ভিক্ষাবৃত্তি থেকে বাঁচিয়ে লোকদের থেকে অমুখাপেক্ষী হয়ে যাবে তবে সে অবশ্যই আল্লাহ পাকের রাস্তায় রয়েছেআর যদি সে নিজের দুর্বল বাবা-মা এবং দুর্বল সন্তানদের জন্য প্ররিশ্রম করে তবুও সে আল্লাহ পাকের রাস্তায় রয়েছে আর যদি সে অহংকার করার জন্য এবং অধিক সম্পদের অন্বেষণের জন্য তড়িগড়ি করে তবে সে শয়তানের রাস্তায় রয়েছে (মুজামু সগীর, পৃঃ ৬৪৮, হাদিসঃ ৯৪০)

    হে আশিকানে রাসূল! চিন্তা করুন! কাজ একই, ওই লোকটি সম্পদ উপার্জনের জন্যই যাচ্ছিলো কিন্তু তার এই  একটি কাজ রহমানের রাস্তাও হতে পারে, শয়তানের রাস্তাও হতে পারে পার্থক্য কী? শুধুমাত্র নিয়্যতের পার্থক্য, যদি নিয়্যত ভালো হয় তবে এই সম্পদ উপার্জন নেকী হয়ে যাবে, দুনিয়াতে এই সম্পদের  মাধ্যমে উপকার সাধিতও হবে এবং এই সম্পদই নাজাতের মাধ্যম হয়ে যাবে কিন্তু যদি নিয়্যত মন্দ হয় তবে এই সম্পদ উপার্জন মুসিবত হয়ে যাবে, দুনিয়াতে এর উপকার পাক বা না পাক, আখিরাতে অবশ্যই এর ক্ষতি হতে পারে