Book Name:Naik Amal Ke Dunyawi Faiday
দিককে নিজের উদ্দেশ্য বানিয়ে ওই কাজ করি। এটাই হলো ইতিবাচক চিন্তাধারা। উদাহরণ স্বরূপ, একটি ছেলে B.A /M.A /PHD ইত্যাদি করতে চায় কিন্তু তার বাবা মা তাকে দরসে নিজামীতে (অর্থাৎ আলিম কোর্স) ভর্তি করে দেয়। এহেন পরিস্থিতিতে সচরাচর ছেলে বাবা-মা’র সামনে বাধ্য হয়ে ওই কাজটি করে কিন্তু মানসিকভাবে বিপরীত থাকে, টাইম পাস (সময় নষ্ট) করে এবং মনোযোগ দিয়ে পূর্ণ পরিশ্রম করতে পারে না, যদি ছেলে একটি ভালো নিয়্যত করে নেয় যে, আমি আমার বাবা মার আনুগত্য করে, তাদেরকে খুশি করে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য দরসে নিজামী করবো। এই একটি ভালো নিয়্যত তাকে ইতিবাচক বানিয়ে দেবে। তার পুরো মাইন্ড সেট বদলে যাবে, এখন তার পড়াশুনায় মন বসবে, আগ্রহও সৃষ্টি হয়ে যাবে এবং সে মন দিয়ে পরিশ্রম করে পড়াশুনাও করে নিবে এবং সময় নষ্ট করা থেকেও বেঁচে যাবে।
সন্তানকে প্রশিক্ষণ দেয়ার একটি ভালো নিয়্যত:
এমনিভাবে ওলামায়ে কেরাম বলেন: পিতার উচিত যে, সন্তানদের লালন পালন এই নিয়্যতে করা যে, আমার এই ছেলে বা মেয়ে কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ করবে।
(হাশিয়ায়ে শায়খ যাদাহ আলী, তাফসীরে বায়যাভী, পারা ১৯, সূরা শূয়ারা, আয়াত:৮৮, খণ্ড: ৬, পৃঃ ৩৪৭)
আপনি এই নিয়্যত করে দেখুন ! আমরা সঠিক অর্থে এই ভালো নিয়্যত করতে সফল হয়ে গেলে এই নিয়্যত হতেই মাইন্ড সেটাপ তাড়াতাড়ি ইতিবাচক হয়ে যাবে। সন্তানের ভালোবাসা প্রথম থেকেই ছিল অন্তরে ছিল, এখন আরো বেড়ে যাবে, প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় অন্তর নম্র হতে মন চাইবে, সন্তানের ব্যাপারে যে স্বপ্ন দেখেছেন, তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেগুলি সব ইতিবাচক হয়ে যাবে।
(২) নেয়ামত মুসিবত হওয়া থেকে বেঁচে যায়:
আমরা এই দুনিয়াতে অনেক কল্যাণ, সফলতা লাভ করি, কিন্তু প্রতিটি দেখতে ভালো জিনিস প্রত্যেকের জন্য নেয়ামত হবে এটা আবশ্যক নয়, দুনিয়াবী সফলতা, ধন-সম্পদ, সুস্থতা, পদ পদবী মুসিবতেও রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে। দেখুন ! ফেরাউন বাদশা ছিল, এই বাদশাহী কি তার জন্য নেয়ামত ছিল? না, কারুন অনেক সম্পদশালী