Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai
যদি আমরা বিবেক দিয়ে চিন্তা করি তবে বুঝতে পারবো যে আপত্তি করাটাই ভুল। কারণ, আপত্তি তার ব্যাপারে করা যায় যার মধ্যে কোনো খুঁত থাকে বা ভুল থাকে বা ভুল সিদ্ধান্ত ইত্যাদি নেয়। অথচ আল্লাহ পাকের মহান সত্তা সব ধরনের ভুল ভ্রান্তি থেকে পবিত্র। হ্যাঁ! এটা ভিন্ন বিষয় যে অসম্পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী ব্যক্তি অনেক বিষয়ের প্রজ্ঞা বুঝতে পারে না। অতএব মুসলমানদের উচিৎ আল্লাহ পাকের প্রতিটি কাজকে হিকমতপূর্ণ মনে করা, তার আকলে বুঝে আসুক বা নাই আসুক। মুখে আনা তো বহুদূর মনেও যেন আপত্তিকে স্থান না দেয়।
(কুফরিয়া কালিমাত কে বারে সোওয়াল জাওয়াব, ১৪১-১৪২ পৃষ্ঠা)
হে আশিকানে রাসূল! আমরা হলাম বান্দা আর বান্দার এই অধিকার নেই যে সে তার প্রতিপালকের ফয়সালার উপর আপত্তি করবে। আল্লাহ পাক আমাদের রব, তিনিই আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তিনিই আমাদের জীবন দান করেছেন, তিনিই আমাদের রিযিক দান করেন, তিনিই আমাদের জন্য যমিনকে বিছানা স্বরূপ বিছিয়ে দিয়েছেন, তিনিই আমাদের জন্য নীল আসমানকে ছাদ বানিয়েছেন, নানা রকমের নেয়ামত তিনিই আমাদেরকে দান করেন, তিনিই আমাদের খালিক, তিনিই আমাদের মালিক। আমরা তাঁরই বান্দা আর বান্দার কর্তব্য হলো যে আপন প্রতিপালকের সিদ্ধান্তের উপর রাজি থাকা। আসলে আপত্তি আল্লাহ পাকের ফয়সালার উপর নয় বরং আমাদের ঐসব কামনার উপর করা উচিৎ যা আল্লাহ পাকের ইচ্ছার বিপরীত। যেমন - আল্লাহ পাক আমাকে গরীব বানিয়েছেন, তারপরও আমার অন্তরে যদি বড় লোক হওয়ার ইচ্ছা থাকে তবে ঐ ইচ্ছাকে খারাপ বলা উচিৎ। আচ্ছা, বান্দার অন্তরে এমন ইচ্ছা কেনো আসবে যা তার প্রতিপালকের ইচ্ছার পরিপন্থী? ইমাম কুশাইরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ লেখেন: তকদীর থেকে যা কিছু প্রকাশ পায়, তার সামনে নিজের ইচ্ছাকে সোপর্দ করে দেয়া, এটাকে বন্দেগি বলা হয়ে থাকে। (রিসালা কুশাইরিয়া, ৩৬৪ পৃষ্ঠা) হযরত রূওয়াইম رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: যদি বান্দার ডান হাতের উপর পুরোটা জাহান্নামে রেখে দেয়া হয় তবে (এ নিয়ে আপত্তি করা তো দূরের কথা, তার উচিৎ যে) এও যেন না বলা যে- হে আল্লাহ পাক! এটাকে বাম হাতের উপর রেখে দাও। (রিসালা কুশাইরিয়া, ৩৬০ পৃষ্ঠা)