Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai
اَللهُ اَللهُ তিনি কেমন মহান ব্যক্তি ছিলেন! নওজোয়ান, অত্যন্ত মুত্তাকী, মাবাবার বাধ্য সন্তান ইন্তিকাল করলো আর হযরত ফুযাইল বিন আয়ায رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ মুচকি হাসছেন, কেন...? কেননা রবের সন্তুষ্টিই এতেই ছিলো।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক আমার রব এ কথার উপর রাজি থাকার তৃতীয় স্তর যে স্তরে অটল থাকা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক হওয়া উচিৎ। এই স্তরটি কী? হযরত আবু আলী দাক্কাক رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সন্তুষ্টি এ নয় যে বান্দার কষ্ট অনুভবই হবে না বরং সন্তুষ্টি হলো বান্দা আল্লাহ পাকের কাছে অভিযোগ করবে না। (রিসালা কুশাইরিয়া, ৩৫৮ পৃষ্ঠা)
ব্যথা অনুভব হোক, বিপদ আসুক, কোথাও আঘাত লাগুক, কোনো কাছের আত্মীয় ইন্তিকাল করূক, দরিদ্রতা আসুক, অসুস্থতা আসুক, এ সবকিছু অনুভূত হোক। হৃদয় চিন্তিত হয়ে যাক, চোখ দিয়ে কান্না বের হোক, এতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু জরূরী হলো অন্তরে কুমন্ত্রণা এলে তার দিকে মনোযোগ না দেয়া, মুখে অভিযোগ না করা বরং অন্তর থেকে আল্লাহ ফয়সালার উপর রাজি থাকা। হুযুর গউসে আযম শায়খ আব্দুল কাদির জিলানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: اَلْاِعْتِرَاضُ عَلَی الْحَقِّ مَوْتُ الدِّینِ وَ مَوْتُ التَّوْحِیْدِ وَ مَوْتُ التَّوَکُّل অর্থাৎ আল্লাহ পাকের ব্যাপারে আপত্তি করা দ্বীনের মৃত্যু, তাওহীদের মৃত্যু এবং তাওয়াক্কুলেরও মৃত্যু। (আল ফাতহুর রবক্ষানী, ৯-১০ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাকের ব্যাপারে আপত্তি করা স্পষ্ট কুফর এবং আপত্তিকারী কাফের ও মুরতাদ। আল্লাহ পাকের ব্যাপারে আপত্তি করা থেকে বেঁচে থাকা শরীয়তের হুকুম এবং প্রত্যেক মুসলমানের উচিত শরীয়তের হুকুম মেনে চলা। আল্লাহ খালিক ও মালিক, তাঁর সৃষ্টি করা বান্দা তাঁর ব্যাপারে আপত্তি করা তাঁর সাথে কঠিন বেয়াদবি। مَعَاذَ الله যদি আপত্তি করার অনুমতি দেওয়া হতো তবে যার যা আসতো তাই বলে দিতো, যেমন - আল্লাহ পাক অমুক কাজটি কেন করেছেন ? অমুক কাজটি কেন করেননি? তাঁর এরকম নয়, এরকম করা উচিত ছিলো ইত্যাদি ইত্যাদি।