Book Name:ALLAH Ki Riza Sab Se Bari Cheez Hai
এটার উত্তরে হযরত মূসা عَلَیْہِ السَّلَام বললেন:
قَالَ رَبُّنَا الَّذِیۡۤ اَعۡطٰی کُلَّ شَیۡءٍ خَلۡقَہٗ ثُمَّ ہَدٰی (۵۰)
(পারা ১৬, ত্ব-হা, আয়াত ৫০)
কানযুল ঈমান থেকে অনুবাদ: মূসা বললো: আমাদের প্রতিপালক তিনিই যিনি প্রত্যেক বস্তুকে সেটার উপযোগী আকৃতি প্রদান করেছেন অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।
মুফাসসিরিনে কেরাম এই আয়াতের যে ব্যাখ্যা করেছেন, তা অনুযায়ী এর অর্থ হলো - প্রতিপালক হলেন তিনি যিনি প্রত্যেকটি বস্তুকে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যে, বিশেষ যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর প্রতিটি জিনিসকে তার কাজ অনুযায়ী আকৃতিও দান করেছেন, অতঃপর প্রতিটি বস্তুকে তার যোগ্যতা ও কাজ অনুযায়ী মাধ্যমসমূহও দান করেছেন। সাথে সাথে ঐসব মাধ্যমসমূহকে ব্যবহার কীভাবে করবে, তার পথপ্রদর্শনও করেছেন। যেমন আল্লাহ পাক চোখ সৃষ্টি করেছেন দেখার জন্য, তাতে দেখার যোগ্যতা দান করেছেন। কান সৃষ্টি করেছেন শ্রবণ করার জন্য, কানে তার কাজ অনুযায়ী আকৃতিও দান করেছেন এবং শ্রবণ করার যোগ্যতাও দান করেছেন। সুতরাং পরিপূর্ণতা হলো যে প্রতিটি বস্তুর একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য রয়েছে এবং একটি বিশেষ কাজ রয়েছে, কান শুনতে পায় কিন্তু দেখতে পায় না, চোখ দেখতে পায় কিন্তু শুনতে পায় না - এইভাবে পৃথিবীর সমস্ত জিনিসকে তার নিজের আলাদা একটি উদ্দেশ্য, নিজস্ব পৃথক কাজের জন্য বানানো হয়েছে, প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্যতা ও কাজ অনুযায়ী আকৃতি ও রূপ দেয়া হয়েছে। সাথে সাথে মাধ্যম দেয়া হয়েছে আর ঐ মাধ্যমসমূহ ব্যবহার করার নির্দেশনাও দান করা হয়েছে।
(রূহুল মাআনী, পারা: ১৬, সূরা ত্বহা, আয়াতের ব্যাখ্যা: ৫০, অংশ: ১৬, খন্ড: ৮, পৃষ্ঠা: ৬৮৩)
ইমাম শা’রানী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন: এই আয়াত
সাব্যস্ত করছে যে আল্লাহ তাঁর পূর্ণাঙ্গ প্রজ্ঞা অনুযায়ী যাকে যা দান করেছেন,
তার জন্য পরিপূর্ণতা হলো সেটাই * নবীদেরকে
নবুয়ত দান করেছেন তাঁদের জন্য নবী হওয়াই পরিপূর্ণতা * অলীদেরকে
বেলায়ত দান করেছেন তাঁদের জন্য বেলায়ত হলো পরিপূর্ণতা
*
ওলামায়ে কেরামদেরকে ইলম দান করেছেন, তাঁদের জন্য তাই হলো পরিপূর্ণতা।