Book Name:Shoq e Hajj
রাসূলে হাশেমী, মাক্কী মাদানী মুহাম্মাদে আরাবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন, যে বান্দা বাহন ও পাথেয় এর মালিক হয় যার মাধ্যমে সে মক্কায় পৌঁছাতে পারে, এতদসত্ত্বেও যদি সে হজ্ব না করে তাহলে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক।
(তিরমিযি, কিতাবুল হজ্ব, পৃষ্টা ২২৩ হাদিস:৮১২)
আল্লাহু আকবার! হে আশেকানে রাসূল! ভেবে দেখুন, কত কঠোর শাস্তি বার্তা। আমাদের প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم হলেন رَحْمَۃٌ لِّلْعٰلَمِیْن (অর্থাৎ সমস্ত বিশ্ববাসীর জন্য রহমত), মানুষের ঈমান গ্রহণ করা তার অত্যন্ত প্রিয়। যখন অমুসলিম কাফেররা কালেমা পড়তো না , কোরআনের আয়াতের উপর ঈমান আনতো না তখন তিনি চিন্তিত হয়ে পড়তেন। রহমতে আলম নূরে মুজাস্সাম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم যিনি অমুসলিমদের কালেমা না পড়ায় চিন্তিত হতেন, তিনি একজন মুসলমানের ব্যাপারে ইরশাদ করেন: হজ্ব ফরয হওয়া সত্ত্বেও যদি সে হজ্ব না করে তবে সে ইহুদি হয়ে মারা যাক অথবা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক । হাকীমুল উম্মত মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ উক্ত হাদিসটির ব্যাখ্যায় বলেন: এর অর্থ হল, যে ব্যক্তি হজ্ব পরিত্যাগ করে (অর্থাৎ যে হজ্ব ফরয হওয়া সত্ত্বেও হজ্ব করে না) তার মৃত্যু এবং এবং ইহুদী খ্রিস্টানের মৃত্যুর মাঝে কোনো পার্থক্য নেই, হজ্ব বর্জনকারীর উপরও আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট, ইহুদি ও খ্রিস্টানদের উপরও আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট। তবে হ্যাঁ উভয়ের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আর যদি এমন কোনো ব্যক্তি থাকে যে ফরয হজ্ব আদায় করে না এবং হজ্বের ফরযকেও অস্বীকার করে , তাহলে সে বান্দা কাফের হয়ে যাবে এবং তার কুফর ও আহলে কিতাবের কুফরের মধ্যে কোনো র্পাক্য থাকবে না। (মিরআতুল-মানাজিহ খন্ড:৪ পৃষ্টা:৯৪)