Nematon Ki Qadar Kijiye

Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye

* ইলম শিখার জন্য সম্পূর্ণ বয়ান শুনবো * আদব সহকারে বসবো * বয়ান চলাকালিন উদাসীনতা থেকে বেঁচে থাকবো * নিজের সংশোধনের জন্য বয়ান শুনবো * যা শুনবো অপরের নিকট পৌঁছানোর চেষ্টা করবো

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب!                 صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    মাকতাবাতুল মদিনার কিতাব উয়ূনুল হিকায়ত (প্রথম খন্ড)২৬৯ পৃষ্ঠা থেকে একটি শিক্ষনীয় ঘটনা শুনুন আর তা থেকে পাওয়া মাদানী ফুলের সুগন্ধি সুবাস দ্বারা নিজের অন্তরের মাদানী ফুলদানীকে সুগদ্ধিময় করার চেষ্ঠা করুন

গুনাহ থেকে বাঁচার এক অনন্য দোয়া

    হযরত মালিক বিন আনাস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: হযরত ইউনুস বিন ইউসুফ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আপন যুগের প্রসিদ্ধ আউলিয়াগণের মধ্যে হতে একজন অধিকাংশ সময় মসজিদে অতিবাহিত করতো আর আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং এটি যৌবন কালের অবস্থা ছিলো তিনি নিজের যৌবনকে আল্লাহ পাকের ইবাদতের জন্য ওয়াক্বফ করে ছিলেন একবার তিনি মসজিদ থেকে আসতেছিলো যে হটাৎ রাস্তাতে একজন যুবতী মহিলার প্রতি দৃষ্টি পড়লো অন্তর কিছুক্ষণের জন্য তার দিকে ধাবিত হয়ে গেলো কিন্তু এরপর সাথে সাথে আপন কৃতকর্মের উপর লজ্জিত হলেন এবং আল্লাহর দরবারে দোয়ার জন্য হাত উঠালেন আর এই শব্দসমূহের মাধ্যমে প্রার্থনা করলেন: হে আমার প্রতিপালক! নিঃসন্দেহে তুমি আমাকে চোখ দান করেছো যা অনেক বড় নিয়ামত কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে যে কখনো যেনো এই চোখগুলোর কারণে আমি আযাবে পতিত হয়ে না যায় আর চোখ আমার জন্য ধ্বংসের কারণ হয়ে না দাড়ায়, হে আমার রব! তুমি আমার চোখের দৃষ্টিশক্তি উঠিয়ে নাও যখনই তিনি দোয়া থেকে অবসর হলেন, চোখের দৃষ্টি চলে গেছে আর তিনি অন্ধ (Blind) হয়ে গেলেন অতএব তিনি তাঁর ভাতিজাকে সঙ্গে রাখতেন যিনি নামাযের সময় তাঁকে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যেতেন আর অন্যান্য প্রয়োজনেও তিনি তার সাহায্য নিতেন তাঁর ভাতিজা তাঁকে মসজিদে দিয়ে যেতেন আর সেই বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করতো যখন তিনি কোন প্রয়োজনের সম্মুখিন হতেন তাকে ডেকে নিতেন এভাবে জীবন অতিবাহিত করতে থাকেন একবার তিনি মসজিদে ছিলেন, তাঁর স্বীয় শরীরে হামাগুড়ি দিয়ে কোন কিছু একটি চলতে অনুভূতি হলো, তাঁর ভাতিজাকে আওয়াজ দিলেন কিন্তু সেই বাচ্চাদের সঙ্গে খেলায় ব্যস্ত ছিলো আর তাঁর পাশে আসতে পারলো না