Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye
তাঁর ভয় ছিল যে কোন ক্ষতি যেন না হয়। অতএব তিনি আল্লাহ পাকের দরবারে পুনরায় এই শব্দসমূহ দ্বারা প্রার্থনা করতে লাগল: হে আমার দয়ালু আল্লাহ! তুমি আমাকে চোখের নিয়ামত দ্বারা ধন্য করেছিলে যেটা আনেক বড় নিয়ামত ছিলো আর আমার ভয় ছিলো যে এই চোখ অসৎ ব্যবহারের কারণে আমি আযাবে জড়িয়ে যাবো, যেহেতু আমি তোমার নিকট দোয়া করেছিলাম যে আমার দৃষ্টিশক্তি উঠিয়ে নিন, হে আমার মাওলা! এখন আমার এই ভয় রয়েছে যে যদি আমার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরে না আসে তাহলে এটা আবার আমার জন্য পরীক্ষা ও লাঞ্ছনার কারণ হয়ে যাবে কেননা আমি এখন দেখতে পায়না, কোন অনিষ্ট প্রাণী আমাকে ক্ষতি করতে পারে আর বার বার নিজের প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য অন্যের সাহায্য প্রয়োজন হয় যার ফলে আমার অনেক কষ্ট হয়, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আমার দৃষ্টিশক্তি পূনরায় ফিরিয়ে দিন যেন লাঞ্ছনা ও লোকদের মুখাপেক্ষী থেকে বাঁচতে পারি। হযরত মালিক বিন আনাস رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন যে এখনো সেই বুযুর্গ দোয়া থেকে অবসরও হয়নি তার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় চলে আসলো আর এখন সে নিজে অন্যের সাহায্য ব্যতীত আপন ঘরের দিকে রওনা হয়ে গেলেন। আমি তাকে উভয় অবস্থায় দেখেছি অর্থাৎ এমতাবস্থাতেও দেখেছি যে তাঁর দৃষ্টিশক্তি শেষ হয়ে গিয়েছিলো এবং এই অবস্থাও দেখেছি যে দোয়ার বরকতে তাঁর পুনরায় চোখের নিয়ামত প্রদান করা হয়েছে। তিনি পূর্বের ন্যায় এখনোও নিজে মসজিদে যেতেন আর আল্লাহ পাকের ইবাদত করতেন।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন! আমাদের বুযুর্গগনের কিরুপ খোদাভীরু, লজ্জাশীলতা, নামাযের প্রতি যত্নবান, মুস্তাজাবুদ দা’ওয়াত ও কৃতজ্ঞতা আদায়কারী ছিলেন যারা আল্লাহ পাকের প্রদত্ত নিয়ামতের প্রকৃত অর্থের মর্ম ও মূল্য বুঝতেন, অনিচ্ছায় যদি কোন বেগানা নারীর প্রতি তাদের দৃষ্টি পড়ে যেতো তখন তাঁরা শয়তানের ধোঁকায় এসে নির্লজ্জদের মত তার সৌন্দর্য ও উৎকর্ষে মগ্ন হয়ে যাওয়া, তার পিঁছু নেয়া এবং মনের মধ্যে তার সম্পর্কে নোংরামী খিয়াল আনার পরিবর্তে নিজের কৃতকর্মের কারণে অনেক লজ্জিত হতেন কেননা তাদের এই প্রকৃত ইলম ছিলো যে চোখ একটি আল্লাহ পাকের মহান নিয়ামত, যেটাকে নেক ও জায়িয কাজে ব্যবহার করা মানে এই নিয়ামতের কৃতজ্ঞ প্রকাশ করা তবে নাজায়িয কাজে ব্যবহার করা সরাসরি বোকামী ও মূল্যহীনের সাথে সাথে নিজেকে জাহান্নামের উপযুক্ত বানিয়ে নেয়া, আর যখন এটা দেখতো যে আমরা এই নিয়ামতের হক আদায় করতে পারবো না তখন আল্লাহ পাকের