Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye
উম্মতের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন, সাহাবায়ে কিরামগণ ও আহলে বাইত رَضِیَ اللهُ عَنْہُمْ اَجْمَعِين। বুযুর্গানে দ্বীন, উলামায়ে আহলে সুন্নাত, মুর্শিদের দয়ার ওসিলায় ও সদকায় দ্বীনি পরিবেশ দান করেছে, কুরআন, ঈমান, বরকতময় রাত ও দিন, মক্কা মুকররমা ও মদীনা মনোওয়ারা মত বরকতময় শহর, মসজিদ, মাদরাসা, জামিয়া, মাতা-পিতা, দ্বীনি ভাই-বোন, শরীরের অঙ্গসমূহ, আকল, পঞ্চইন্দ্রিয়, বাতাস, পানি, মাটি, আলো, স্থান, রোযগার, শীত, গরম, ঠান্ডা, মৌসম, যমিন, আসমান, চন্দ্র, সূর্য, ঘুম, স্বাস্থ্য, ফল-মূল, প্রাণী, উদ্ভিদ, বর্ষা, দিন-রাত, ইত্যাদির মত মহান নিয়ামত আমাদের দান করছে, যদি আমাদের কোন একটি নিয়ামত অর্জন না হয় তো এসকল নিয়ামতের কথা ভুলে যায়, এরকম কখনো করা উচিত নয়।
অঙ্গসমূহের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন
(৪) মুখের সাথে সাথে অন্যান্য অঙ্গ যেমন হাত, পা, ও চোখ ইত্যাদির মাধ্যমেও এভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করুন যে এসবের দ্বারা কেবল জায়িয ও সাওয়াবের কাজ করবেন, নাজায়িয ও হারাম বরং অনর্থক কাজে এসব অঙ্গগুলোকে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, হযরত যিয়াদ رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ থেকে বর্ণিত: নিয়ামত প্রাপ্ত ব্যক্তির উপর আল্লাহ পাকের একটি হক এটা যে, সে এই নিয়ামতের মাধ্যমে নাফরমানী করবে না।
(তারিখে মদীনা দামেস্ক লি ইবনে আসাকির, ১৯/১৯১)
(৫) মুসিবতের সময়ও কৃতজ্ঞতার অভ্যাস করে নেওয়া উচিত, যেমন আল্লাহ পাকের শুকরিয়া যে তিনি কোন বড় মুসিবত কিংবা রোগ প্রেরণ করেননি। আমাদের বুযুর্গুগণতো মুসিবত আসার প্রতি খুশি হতেন যেমন বর্ণিত আছে,
হযরতে ফাতাহ মাওসুলী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর মাথা ব্যাথা হয় তখন খুশি হলে বললেন: আল্লাহ পাক আমাকে ঐ রোগ দিয়ে দয়া করেছেন যা আম্বিয়াগণদের عَلَیْہِمُ السَّلَام নিকট হতো, তাই এর শুকরিয়ার্থে ৪০০ রাকাত নফল পড়বো। (১৫২ রহমত পূর্ণ ঘটনা, ১৭১ পৃষ্ঠা)
(৬) প্রত্যেক মাসে ৩ দিন মাদানী কাফেলাতে সফল করুন আর প্রতিদিন নেক আমলের হিসাব করে নেক আমলের রিসালা পূরণ করে প্রত্যেক মাসের প্রথম তারিখে আপনার নিকটস্ত যিম্মাদারকে জমা করার অভ্যাস করুন এবং সাপ্তাহিক সুন্নাতে ভরা