Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye
عَلَیْہِ السَّلَام যখনই নতুন পোষাক পরিধান করতেন কিংবা খাবার খেতেন তখন আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা আদায় করতেন।
(শুকরকে ফাযায়ীল, ২৬ পৃষ্ঠা)
হযরত ইবনে নাবাতা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন যে আমীরুল মুমিনীন হযরত আলীউল মুরতাযা رَضِیَ اللهُ عَنْہُ প্রয়োজন সাড়তে গেলে তখন এই দোয়া পড়তেন: “بِسْمِ اللّٰہِ الْحَافِظِ الْمُؤَدِّیْ অর্থাৎ আল্লাহ পাকের নামে যিনি নিরাপত্তা দানকারী, পূর্ণতাদানকারী।” অতঃপর যখন অবসর হতেন তখন হাত দিয়ে পেঠকে স্পর্শ করতেন আর বলতেন: یَا لَہَا مِنْ نِّعْمَـۃٍ لَوْ یَعْلَـمُ الْعِبَـادُ شُـکْرَھَا অর্থাৎ কত মহান নিয়ামত, হায়! লোক এর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন জেনে নিতো। (শুয়াবুল ঈমান, হাদীস: ৪৪৬৭, ৪/১১৩)
হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের ধরন
হযরত ইমাম হাসান বসরী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ কথা-বার্তা আরম্ভ করার সময় এভাবে বলতেন যে সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ পাকের জন্য, হে আল্লাহ পাক! হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের সৃষ্টি করেছো, আমাদের রিযিক দান করছো, জ্ঞান দান করছো, মুক্তি দান করছো আর আমাদের কষ্ট দূর করছো, ইসলাম ও কুরআনের নিয়ামতের উপর তোমার কৃতজ্ঞতা, পরিবার-পরিবর্গ, ধন-সম্পদ এবং সুস্থতা ও পরিত্রাণের নিয়ামতের উপরও তোমার শুকরিয়া। তুমি আমাদের শত্রুদেরকে অপদস্ত করেছ, আমাদের রিযিকে বরকত দান করছো, এই উম্মতকে বিজয় দান করছো, আমরা বিক্ষিপ্তদেরকে ঐক্য করেছ, আমাদেরকে সর্বোত্তম স্বাস্থ্য ও পরিত্রাণ দান করেছ, হে আমাদের রব! আমরা তোমার কাছ থেকে যা প্রার্থনা করেছি তুমি তা দান করেছ, ব্যস এর উপর তোমার নিকট অসংখ্য শুকরিয়া ও তোমার প্রদত্ত প্রতিটি নিয়ামতের শুকরিয়া, নতুন হোক বা পুরাতন, গোপনীয় হোক কিংবা দৃশ্যমান, বিশেষ হোক বা সাধারণ, অবশিষ্ট হোক বা শেষ এবং উপস্থিত হোক বা অনুপস্থিত, তোমার শুকরিয়া এই পর্যন্ত যে তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাও আর যখন তুমি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে তখনও তোমার শুকরিয়া। (শুকর কে ফাযায়িল, ২৪ পৃষ্ঠা)
হযরত ইবনে আবি হাওয়ারী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন যে হযরত ফুযাইল বিন আয়ায ও হযরত সুফিয়ান বিন ওয়াইনা رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এক রাতে সকাল পর্যন্ত একে অপরের