Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye
(১) দুইটি আওয়াজের প্রতি দুনিয়া ও পরকালে অভিশাপ রয়েছে: (১) নিয়ামতের সময় বাজনা বাজানো (২) মুসিবতের সময় চিৎকার চেচামেচি করা। (আল কামিল ফি দুয়াফায়ির রিজাল, ৭/২৯৯)
(২) যে ব্যক্তি গায়কের নিকট বসে, কান লাগিয়ে গভীরভাবে শুনে আল্লাহ পাক কিয়ামতের দিন তার কানে শিশা ঢেলে দিবে।
(ইবনে ইসাকির, খন্ড ৫১, ২৬৩ পৃষ্ঠা)
(৩) হযরত আল্লামা জালাল উদ্দীন সূয়তী শাফেয়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বর্ণনা করেন: গান-বাজনা থেকে নিজেকে রক্ষা করো কেননা এটা কামভাবকে বৃদ্ধি করে আর অন্যকে ধ্বংস করে এবং এটা মদের স্থলাভিষিক্ত, এর মধ্যে নেশার মত প্রভাব রয়েছে। (শুয়াবুল ঈমান, ৪/২৮০, হাদীস:৫১০৮)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের বুযুর্গানে দ্বীন নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের স্পৃহায় কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো, যার অনুমান এই বিষয় দ্বারা করা যেতে পারে যে এই সম্মানিত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন পরীক্ষায় পতিত হওয়া সত্ত্বেও কারো সম্মুখে তাঁদের পেরেশানী প্রকাশ করে অকৃতজ্ঞকারী হতেন না, যদি কেউ তাদের মুসিবত হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত শান্তিতে (খরভব) জীবন অতিবাহিত করা ও ধৈর্যশীল হওয়ার প্রতি অবাক হতেন তখন এই সম্মানিত বুযুর্গগণ আল্লাহ পাকের অন্যান্য নিয়ামত সমূহ, দয়া ও অনুগ্রহের কথাটি এত সুন্দরভাবে উল্লেখ করতেন, যেটা শুনে এই অনুভূতি হতো যেন তাদের নিকট সব ধরণের বিলাসিতা রয়েছে। আসুন! এমনই ধৈর্যশীল ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী বুযুর্গুর একটি ঈমান উদ্দীপক ঘটনা শ্রবণ করি এবং তা থেকে অর্জনকৃত মাদানী ফুলকে নিজের অন্তরের মাদানী ফুলদানীতে সাজানোর চেষ্টা করি,
হযরত ইমাম আউযায়ী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আমাকে একজন বুযুর্গ এই ঘটনা শুনান যে আমি অলীগণের খুঁজে সর্বদা পেরেশান থাকতাম আর তাদের আস্তানা তালাশ করার জন্য মরুভূমি, পাহাড় এবং জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতাম যেনো তাদের সংস্পর্শে ফয়েয প্রাপ্ত হতে পারি। একদিন এই উদ্দেশ্যে (Purpose) মিসরের দিকে রওয়ানা হলাম, যখন আমি মিসরের নিকট পৌঁছলাম তখন নির্জন স্থানে একটি তাবু দেখলাম, যেখানে একজন ব্যক্তি বিদ্যমান ছিলো, যার হাত, পা, এবং চোখ কুষ্ঠরোগে ধ্বংস হয়ে গেয়েছিলো কিন্তু এই