Book Name:Nematon Ki Qadar Kijiye
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
سُبْحٰنَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো আল্লাহ পাকের নেক বান্দাগণ কিছু নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হওয়ার সত্ত্বেও এমন ধৈর্যশলী ও কৃতজ্ঞ থাকতেন যে, মনেহয় যেন সেই নিয়ামত তাদের কাছ থেকে হারিয়েই যায়নি। তাই আমাদের উচিত যে আমরা যেনো সেই নেককার ব্যক্তিদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পরীক্ষায় ধৈর্যধারণ ও নিয়ামতের প্রতি শুকরিয়া আদায় করার অভ্যাস করা কেননা এই উভয় এমন মহান ও সুন্দর অভ্যাস যার বরকতে বান্দা সিদ্দিকিয়তের মত উচ্চপদে অদিষ্টিত হয়ে যায়।
হযরত ইবনে আব্বাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا বলেন যে আল্লাহ পাক সর্বপ্রথম লাউহে মাহফুযে এটা লিখলেন যে আমি আল্লাহ, আমি ব্যতীত ইবাদতের যোগ্য কেউ নয়! মুহাম্মদ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমার রাসূল। যে আমার ফয়সালাকে মেনে নিয়েছে আর আমার প্রদত্ত মুসিবতের উপর ধৈর্যধারণ করেছে এবং আমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, তাকে “সিদ্দিক” লিখেছি ও তাকে সিদ্দিকিনদের সাথে উঠাবো আর যে ব্যক্তি আমার ফয়সালাকে মেনে নেয়নি ও আমার প্রদত্ত মুসিবতের উপর ধৈর্যধারণ করেনি আর আমার নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করেনি সে আমি ব্যতীত যাকে চায় নিজের মাবুদ বানিয়ে নেয়।
(তাফসিরে কুরতুবী, পারা, ৩০, আল বুরুজ, আয়াতের ব্যাখ্যা: ২২, ১০/২১০ পৃষ্ঠা)
হযরত আল্লামা মুহাম্মদ আব্দুর রউফ মুনাভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই হাদীসে পাকের ব্যাখ্যায় লিখেন: মুমিন বান্দার প্রতিটি কাজ বিস্ময়কর এই জন্য তাঁর সমস্ত কাজে কল্যাণই কল্যাণ অন্যদিকে কাফের ও মুনাফিকদের এই মর্যাদা একেবারে অর্জন হয় না, যদি মুমিন বান্দার সুস্থতা ও নিরাপত্তা অর্জন হয় তখন তাতে আল্লাহ পাকের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, তারা এই জন্য কল্যাণকর কেননা তাকে কৃতজ্ঞকারী হিসাবে লিখে দেয়া হয় আর যখন কোন কষ্টদায়ক বিষয়ের সম্মুখিন হয় তখন ধৈর্যশীল হিসেবে লিখে দেন, যেটার প্রশংসা (Praise) কুরআনে পাকে বর্ণনা করা হয়েছে, আর যতক্ষণ পর্যন্ত সে কষ্টে থাকে, তার জন্য রহমতের দরজা খোলা থাকে, তখন এটা তার জন্য উত্তম তাই প্রত্যেক মুমিনের উচিত যে নিয়ামত পাওয়াতে নিয়ামত প্রদত্তকারীর শোকরিয়া আদায় করা এবং মুসিবত আসার মধ্যে ধৈর্যধারণ করা এবং যে জিনিসে তাঁর নির্দেশ রয়েছে, সেগুলো গ্রহণ করে