Book Name:Data Hazoor Aur Adab Ki Taleem
পবিত্র। তাই আদেশ হলো যে, হে মূসা عَلَیْہِ السَّلَام! আপনার দয়ালূ প্রতিপালকের এবং এই বরকতময় উপত্যকার আদবে জুতো শরীফ খুলে ফেলুন!
اَللهُ اَكْبَرُ প্রিয় ইসলামী বোনেরা! এর থেকে আদবের গুরুত্ব অনুমান করুন! জানা গেল যে, আদব হলো বন্দেগীর প্রথম শর্ত, এর মাধ্যমেই মানুষ উচ্চ মর্যাদায় পৌঁছতে পারে। হযরত জালাল বসরী رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ বলেন: ঈমানের দাবি হলো যে, বান্দা শরীয়তের উপর আমল করবে, সুতরাং যে শরীয়ত জানে না, সে (কামিল) ঈমানওয়ালা হতে পারে না এবং শরীয়ত আদব শেখায়। সুতরাং যে আদব জানে না, তার ঈমানও (কামিল) নয়, সে শরীয়তও জানে না। (রিসালায়ে কুশায়রিয়া, ‘আদব কা বয়ান’, পৃষ্ঠা: ৪৯৪) আলা হযরত ইমামে আহলে সুন্নাত শাহ ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَۃُ
اللهِ عَلَیْہِ বলেন:
لَا دِینَ
لِمَنْ لَا آدَبَ لَهُ যে বা যার-আদব নেয়, তার কোনো দ্বীন নেই। (ফতোয়ায়ে রযবীয়া, খণ্ড: ২৮, পৃষ্ঠা: ১৫৮)
আদব হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম
শেখ ইউসুফ বিন হুসাইন رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: আদবের বরকতে ইলমের বোধ আসে, ইলমের বরকতে আমল সঠিক হয়, আমল সঠিক হলে হিকমত লাভ হয়, হিকমত লাভ হলে যোহদ (অর্থাৎ দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি) লাভ হয়, যোহদের বরকতে আখেরাতের আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং যে ভাগ্যবান আখেরাতের আগ্রহ লাভ করে, তাকে আল্লাহ পাক তাঁর নৈকট্যের দৌলত দান করেন। (আওয়ারিফুল মা'আরিফ, পৃষ্ঠা: ৪৫৫)