Book Name:Shehr e Mohabbat
হাশর, আয়াত: ৯-এ মদীনা পাকের ২টি নাম উল্লেখ করা হয়েছে:
(১): دَارُ الْهِجْرَة (দারুল হিজরাহ), এবং (২): دَارُ الْاِيْمَان (দারুল ঈমান)। ইরশাদ হচ্ছে:
وَالَّذِينَ تَبَوَّءُوا الدَّارَ وَالْإِيْمَانَ مِنْ قَبْلِهِمْ
(পারা ২৮, সূরা হাশর: ৯) কানযুল ইরফানের অনুবাদ: যারা মুহাজিরদের আগমনের পূর্বে মদীনায় বসবাস করেছিলো এবং বিশ্বাস স্থাপন করেছিলো।
আল্লামা বায়যাভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এই আয়াতের একটি অর্থ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন: تَبَوَّؤُوا دَارَ الْهِجْرَةِ وَدَارَ الْإِيْمَانِ অর্থাৎ সেই লোক যারা দারুল হিজরত ও দারুল ঈমানকে নিজেদের ঘর বানিয়েছে এবং এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আনসার সাহাবায়ে কেরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان, যাদের সততা ও সত্যবাদিতা প্রকাশ পেয়েছে, তারা আগে থেকেই মদীনা পাকে বসবাসকে আবশ্যক করে নিয়েছেন, ঈমান এনেছেন এবং মদীনা পাকে বসবাস ও ঈমানের উপর দৃঢ়পদ থেকেছেন।
আল্লামা বায়যাভী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ আরও বলেন: এই আয়াতে আল্লাহ্ পাক মদীনা পাককে ঈমান (বা দারুল ঈমান) বলেছেন, এর কারণ হলো, ঈমান মদীনা পাক থেকেই ছড়িয়েছে এবং পুনরায় এরই দিকে ফিরে যাবে। (হাশিয়া শাইখ যাদাহ তাফসীরে বায়যাভী, পারা: ২৮, আল-হাশর, আয়াত: ৯ এর অধীনে, খণ্ড: ৮, পৃষ্ঠা: ১৬৭) মু'জামে আওসাতের হাদীস শরীফে আছে, আল্লাহ্ পাকের শেষ নবী, রাসূল হাশেমী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ফরমান: الْمَدِينَةُ دَارُ الإِيمَانِ – মদীনা ঈমানের ঘর। (মুজামে আওসাত, খণ্ড: ৪, পৃষ্ঠা: ১৭৪, হাদীস: ৫৬১৮)
سُبْحَانَ الله! প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! দেখুন! রব্বে কারীমের প্রিয় শহর অর্থাৎ মদীনা মুনাওয়ারার প্রতি কত অগাধ ভালোবাসা! প্রথমত আল্লাহ্ পাক নিজেই তাঁর মাহবুবের অবস্থানের জন্য মদীনাকে নির্বাচন করেছেন এবং মাহবুবের অবস্থানের জন্য সর্বদা সর্বোত্তম স্থান নির্বাচন করা হয়। তারপর মদীনার এই মাহাত্ম্য যে, আল্লাহ্ পাক পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহেও এর আলোচনা করেছেন এবং সর্বশেষ কিতাব কুরআন কারীমেও এমন অতুলনীয় আলোচনা করেছেন, কোথাও একে اَرْضُ الله বলেছেন, কোথাও দারুল হিজরত বলেছেন, কোথাও দারুল ঈমান বলেছেন এবং জানিয়ে দিয়েছেন যে, যেভাবে আল্লাহ্