Book Name:Shehr e Mohabbat
ছিল, তখন শুধু একবার ডাকেননি বরং নাম পরিবর্তন করে করে বলেছেন: يَا طَيِّبَةُ! يَا طَابَةُ! يَا مَسْكِينَةُ!
سُبْحَانَ الله! যখন আমাদের রব্বে রহমান মদীনা তাইয়্যেবার আলোচনা এভাবে ভালোবাসার সাথে করেন, তখন ইবাদুল্লাহ (অর্থাৎ আল্লাহ্ পাকের বান্দারা) মদীনার আলোচনা কেন করবে না?
গরীব, ফকীরদের আশ্রয়স্থল
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ্ পাক তাওরাত শরীফে মদীনা তায়্যেবাকে ডাকতে গিয়ে বললেন: يَا مَسْكِينَةُ! অর্থাৎ হে শান্তি ও স্থিরতার ভূমি।
سُبْحَانَ الله! এটাও মদীনার ফযীলত, اَلْحَمْدُ لِلّٰه মদীনা তায়্যেবা সেই পবিত্র ভূমি যেখানে শান্তি পাওয়া যায়, স্থিরতা পাওয়া যায়, দুঃখী হৃদয় এখানে এসে শান্তি পায়, চিন্তাগ্রস্ত্ররা এখানে এসে দুঃশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পায়। হ্যাঁ! হ্যাঁ! এটাই মদীনা, যেমন আমাদের আকা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم প্রত্যেক নিরাশ্রয়ের জন্য আশ্রয়স্থল, তেমনই মদীনা তায়্যেবাও প্রত্যেক গরীবের জন্য স্বদেশ।
হে আশেকানে রাসূল! اَلْحَمْدُ لِلّٰه মদীনা তায়্যেবা আল্লাহ্ পাকের প্রিয় শহর। রব্বে কারীম যেভাবে পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবসমূহে এর আলোচনা করেছেন, সেভাবেই সর্বশেষ আসমানী কিতাব কুরআন মাজীদেও অনেক স্থানে মদীনা মুনাওয়ারার আলোচনা করা হয়েছে। মদীনা পাকের প্রসিদ্ধ নাম অর্থাৎ 'মদীনা'ও কুরআন কারীমে ৪ বার এসেছে। ম এছাড়া পারা ১৫, সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত: ৮০-তে মদীনা পাকের জন্য مُدْخَلَ صِدْقٍ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, অর্থাৎ প্রবেশ করার ভালো ও সত্য স্থান। পারা: ৫, সূরা নিসা, আয়াত: ৯৭-তে মদীনা মুনাওয়ারাকে اَرْضُ الله (আল্লাহ্র যমীন) বলা হয়েছে। অর্থাৎ জমিন তো সবই আল্লাহ্ পাকের, বরং সাত জমিন, সাত আসমান রব্বে রহমানই সৃষ্টি করেছেন, কিন্তু সেই পবিত্র ভূমির কতই সৌভাগ্য যে (অর্থাৎ মদীনা তায়্যেবার) যে, রব্বে কারীম একে বিশেষভাবে اَرْضُ الله (আল্লাহ্র জমিন) উপাধিতে ভূষিত করেছেন। পারা: ২৮, সূরা