সব অবস্থা সত্ত্বেও খাঁটি আশেকে রাসূল, মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বন্ধু-বান্ধবের আরযের প্রেক্ষিতে ইশকে রাসূলে বিভোর হয়ে বললেন: মদীনা তায়্যেবার গমনের উদ্দেশ্যে কদম দরজার বাইরে রাখবো, তারপর রুহ সেই সময়েই বের হয়ে যাক।

(ফাযায়েলে দু'আ, পৃষ্ঠা: ৪০, সংক্ষেপিত)

    মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ নিজের শাহজাদা (পুত্র) আ'লা হযরত, ইমাম আহমদ রযা খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এবং ঘরের আরও কিছু সদস্যকে সাথে নিয়ে হজ্জের জন্য রওয়ানা হয়ে গেলেন। আ'লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সরকারে মক্কা মুকাররমা, সরদারে মদীনা মুনাওয়ারা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বপ্নে তাশরীফ এনে নিজের আশেক, মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ-কে একটি পাত্রে ঔষধ দান করলেন, এই ঔষধ পান করার বরকতে অসুস্থতার তীব্রতা কমে গেল এবং মাওলানা নকী আলী খান
رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ হজ্জ ও যিয়ারতের সমস্ত কাজ সুস্থদের মতো আদায় করলেন, তারপর মদীনা তায়্যেবায়ও আদব সহকারে, গভীর ভাবময় হয়ে উপস্থিত হলেন। (ফাযায়েলে দু'আ, পৃষ্ঠা: ৪১, সংক্ষেপিত)

صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب                                                                                                    صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এই ছিল মাওলানা নকী আলী খান رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ-এর ইশকে রাসূলের অবস্থা...! যে, তাকে সরকারে আলী ওয়াকার, মদীনার তাজদার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم স্বপ্নে এসে হুকুম করলেন, তখন তিনি رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ এত কঠোরভাবে আমল করলেন যে, প্রাণেরও পরোয়া করলেন না বরং বললেন: মদীনা তায়্যেবার লক্ষ্যে কদম দরজার বাইরে রাখবো, তারপর রুহ বের হয়ে যাক। অর্থাৎ নিজের আকা ও মওলা, মাহবুবে খোদা صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর হুকুমের উপর আমল করার জন্য যা কিছু আমার ক্ষমতাধীন রয়েছে তা আমি অবশ্যই করবো, তারপর আল্লাহ্‌ পাকের রহমত এবং মাদানী সরকার, আম্বিয়াদের তাজদার صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর করম সীমাহীন, আল্লাহ্‌ পাক এবং তাঁর প্রিয় হাবীব صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم চাইলে মদীনায় পৌঁছে দেবেন, নতুবা আমার পক্ষ থেকে তো হুকুমের উপর আমল হয়ে গেছে।