Book Name:Pyary Aaqa Ka Pyara Dost
কত...? গড়ে ৬০ থেকে ৭০ বছর আর চলন বলন কেমন...? যেন আমরা চিরকাল দুনিয়াতেই থাকবো! লোভ, লালসা, দুনিয়া, দুনিয়া আর দুনিয়া। * বড় বড় প্রাসাদ বানাই বা এর স্বপ্ন দেখি * ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ানোর চিন্তা করি * গাড়ি * বাড়ি বানানোর চিন্তায় থাকি, আখিরাতের কোনো চিন্তা নেই * কবরে যেতে হবে * হাশরে উঠতে হবে * আমলের মিযানে যেতে হবে * প্রতিটি আমলের হিসাব দিতে হবে * পুলসিরাত অতিক্রম করতে হবে, এর কোন চিন্তা নেই। হায়! আমাদের যেন আখিরাতের চিন্তা নসীব হয়ে যায়।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে এমন ধারণা আসতে পারে যে, অমুক আলেমে দ্বীন বা অমুক পীর সাহেব প্রমূখরা তো এতো সম্পদশালী, তাদের নিকট তো এতো সাজ-সরঞ্জাম। তবে মনে রাখবেন! দুনিয়ার সম্পদের আধিক্য আসল বিষয় নয়, এতে দুটি বিষয় মুখ্য: (১) অন্তরে দুনিয়ার প্রতি লোভ না থাকা, বান্দার ھَلْ مِنْ مَزِیْد (অর্থাৎ আরও চাই, আরও চাই) মানসিকতা পোষণ না করা। (২) আর দ্বিতীয় বিষয় হলো: যা কিছু আল্লাহ পাক দান করেছেন, বান্দা তাতে নিমগ্ন না হয়ে যাওয়া, আল্লাহ পাকের দানকৃত সম্পদকে আল্লাহ পাকের পথে, আখিরাতের জন্য ব্যবহার করা। যদি এই দুটি গুণ নসীব হয়ে যায়, তবে দুনিয়ার সম্পদ কম বা বেশি হওয়াতে তেমন কোন পার্থক্য নয়। যেমন মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমানে গণি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ ছিলেন অত্যন্ত ধনী সাহাবী এবং তাঁর শান এমন ছিলো যে, আশারায়ে মুবাশশারার অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ মালিকে জান্নাত, কাসিমে নেয়ামত صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم তাঁকে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ শুনিয়েছেন। অর্থাৎ তিনি এতো সম্পদশালী হওয়ার পরও জান্নাতী। কেন...? এই কারণে যেমন সম্পদশালী হওয়া জান্নাত থেকে বঞ্চিত করার কারণ নয়, এর কারণ হলো: লোভ, দুনিয়ার প্রতি আসক্তি, দুনিয়ার সম্পদে ব্যস্ত হয়ে আখিরাতকে ভুলে যাওয়া। ব্যস এ থেকেই আমাদের বাঁচতে হবে।
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد