Book Name:Pyary Aaqa Ka Pyara Dost
কুপ্রবৃত্তিগুলোর অনুসরণ করেছে, সুতরাং অবিলম্বে তারা দোযখের মধ্যে ‘গায়্য’ এর জঙ্গল পাবে;
নফল নামাযের ফযীলত
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আমাদের উচিত, নামাযকে ভালোবাসা, নামায আমাদের প্রিয় নবী, মক্কী মাদানী মোস্তফা صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর চোখের শীতলতা। সে কেমন আশিকে রাসূল, যে নিজের মাহবুবের চোখের শীতলতা দিতে চায় না? যে নামায ছেড়ে দিয়ে, নামায ইচ্ছাকৃতভাবে কাযা করে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর অন্তর মুবারকের জন্য কষ্টের কারণ হতে চায়? নিঃসন্দেহে এমন কেউ চায় না। তাই আমাদের উচিত যে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায মসজিদে তাকবীরে উলার সাথে জামাআত সহকারে পড়ার অভ্যাস গড়া, অতঃপর এর পাশাপাশি নফল নামাযও আদায় করা।
* তিরমিযী শরিফের হাদীসে মুবারাকায় রয়েছে: যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাআত সহকারে আদায় করে এবং এরপর আল্লাহর যিকির করতে থাকে, এক পর্যায়ে সূর্যে উদিত হয়ে যায়, অতঃপর ২ রাকাত নফল নামায পড়ে, তবে সে পূর্ণ হজ্জ ও উমরার সাওয়াব লাভ করবে। (তিরমিযী, পৃষ্ঠা ১৭১, হাদীস: ৫৮৬) * প্রিয় নবী, রাসূলে হাশেমী صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি চাশতের ২ রাকাত নামায নিয়মিতভাবে আদায় করবে, তার গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমানও হয়। (ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ২২৩, হাদীস: ১৩৮২) * ইবনে মাজাহ শরীফের হাদীসে মুবারকায় রয়েছে: যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ৬ রাকাত নামায এমনভাবে আদায় করবে যে, এর মাঝে কোনো অনর্থক কথা বললো না, তবে এই ৬ রাকাত তার জন্য ১২ বছরের ইবাদতের সমান হবে। (ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ১৮৯, হাদীস: ১১৬৭) * মুসলিম শরীফের হাদীসে মুবারাকায় রয়েছে: যে ব্যক্তি অযু করলো এবং উত্তমরূপে অযু করলো আর জাহির ও বাতিন সহকারে একাগ্রতার সহিত ২ রাকাত নামায পড়বে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।
(মুসলিম, পৃষ্ঠা ১০৯, হাদীস: ২৩৪)