Book Name:Pyary Aaqa Ka Pyara Dost
এর মধ্যে প্রথম গুণ ইরশাদ হয়েছে: لَمُؤْمِنٌ অর্থাৎ তার মুমিন হওয়া। اَلْحَمْدُ لِلّٰه আমরা সবাই মুসলমান। আল্লাহ পাকের বড় অনুগ্রহ যে, তিনি আমাদের ঈমানের দৌলত দান করেছেন। আল্লাহ পাক আমাদের এর উপর স্থায়ীত্বও নসীব করুক। হায়! আমরা যেন মৃত্যু পর্যন্ত মুসলমান থাকি, কখনোই এক সেকেন্ডের কোটি ভাগের এক ভাগের জন্যও যেন ঈমান থেকে আমরা পৃথক না হই।
ঈমানের ভিত্তি ভালোবাসার ওপর রাখুন!
তবে এখানে একটা বিষয় ব্যাখ্যা করে দিই: ঈমানের মূল হলো অন্তরের সত্যয়ন। (মিরকাতুল মাফাতিহ, কিতাবুল আদাব, খণ্ড: ৯, পৃষ্ঠা: ৫৫, হাদীস: ৪৮১৪) অর্থাৎ ঈমান হলো অন্তরের ব্যাপার এবং অন্তরের ব্যাপারে বুদ্ধি বৃত্তির কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বলার উদ্দেশ্য হলো যে, اَلْحَمْدُ
لِلّٰه আমরা তো মুমিনই, আল্লাহ পাক আমাদের ঈমানে দৃঢ়তা দান করুক। ঈমানের ভিত্তি হলো
* আল্লাহ পাকের প্রতি ঈমান * রাসূলে পাক صَلَّی اللهُ
عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর প্রতি ঈমান * নবীদের প্রতি ঈমান * কিতাবের প্রতি ঈমান, এই সব যে ঈমানের ভিত্তি, এসব কিছুর উপর আমাদের বিশ্বাস ভালোবাসার সীমা পর্যন্ত হওয়া উচিত, নিজের ঈমানের ভিত্তি যুক্তির উপর রাখবেন না, অন্যথায় পথভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকবে।
অর্থাৎ ঈমানের ভিত্তি যদি যুক্তির উপর রাখেন তবে যুক্তি বিভ্রান্ত হয়ে যায়, যুক্তি বাঁধার সম্মুখীন হয়, অতএব ঈমানের ভিত্তি স্থাপন ভালোবাসার উপর রাখুন। আল্লাহ ও রাসূলের নিঃশর্ত ভালোবাসা বজায় রাখুন। اِنْ شَآءَ الله ঈমান হারানোর সম্ভাবনা খুবই কম হয়ে যাবে।
ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ অনেক বড় ইমাম ছিলেন, খুবই অভিজ্ঞ আলিমে দ্বীন ছিলেন। তাঁর যখন অন্তিম মুহূর্ত এলো তখন শয়তান এসে গেলো, বলতে লাগলো- রাযী! আল্লাহ এক, এর কোন দলিল দাও! ইমাম রাযী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ দলিল দিলেন, শয়তান অত্যন্ত ধূর্ত, সে তার কুটিল যুক্তি দিয়ে এই দলিল খন্ডন করে দিল,