Book Name:Sila Rehmi
আরো বলেন: নিজের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুন্দর আচরণ করা খুবই ফলদায়ক। দুনিয়াতেও রয়েছে আখিরাতেও এর দ্বারা জীবন-মৃত্যু, আখিরাত সবকিছু সফল হয়ে যায়। (তাফসীরে নঈমী, ৪/৪৫৬ পৃষ্ঠা)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আল্লাহ পাক আমাদেরকে আমাদের নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এটাকে এভাবে বুঝে নিন, যদি বর্তমান সরকার কাউকে কোন কাজ করতে নিষেধ করে এবং ঐ অপরাধের অপরাধীকে শাস্তির ঘোষণা করে, তবে কোন বুদ্ধিমান লোক জেনে বুঝে ঐ কাজটি কখনো করবে না এবং এর থেকে বাঁচার চেষ্টা করবে। একটু চিন্তা করুন, আমরা এক দুনিয়াবী বিচারকের নিষেধের অপরাধকে ভয় করি, কিন্তু যিনি রাব্বুল আলামীন যিনি আহকামুল হাকিমীন আমাদের ভাল-মন্দের মালিক। আমাদের জীবন মরণ যার কুদরতী হাতে, এমন শক্তিশালী সত্তার হুকুম সমূহের বিরোধীতা করাটা কেমন বোকামী? আত্মীয়তার বন্ধনের এমন গুরুত্ব রয়েছে যে, যদি কেউ নিজ আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো আচরণ না করার শপথ করে ফেলে, তবে এমন পরিস্থিতিতেও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার হুকুম রয়েছে এবং কসমের কাফফারাও দিতে হবে।
হযরত সায়্যিদুনা আবুল আহওয়াছ আউফ বিন মালিক رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন; তার পিতা বলেন: আমি আরয করলাম: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আপনি এ ব্যাপারে কি বলেন? আমি আমার চাচাতো ভাইয়ের কাছে থেকে কিছু চাইলে তবে সে কিছু দেয় না এবং আত্মীয়তার বন্ধনও রক্ষা করে না। আর যখন তার নিকট আমার প্রয়োজন হয়, তখন সে আমার কাছে আসে এবং আমার কাছে কিছু চায়। অথচ আমি শপথ করেছি যে, আমি তাকে কিছু দিবো না এবং আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করবো না। তখন হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم আমাকে নির্দেশ দিলেন: “যে কাজ উত্তম তা করো আর শপথের কাফফারা দিয়ে দাও।”
(নাসায়ী, ৬১৯ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৩৭৯৩)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! এখানে এ কথাটা অন্তরে গেঁথে রাখুন যে, যদি কেউ অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া, সম্পর্ক নষ্ট করা বা কারো হক আদায় না করার জন্য শপথ করে