Book Name:Sila Rehmi
তোমরা কি একথা পছন্দ কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন আর আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়ালু।
আয়াতটি যখন নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم পাঠ করলেন, তখন হযরত আবু বকর সিদ্দীক رَضِیَ اللهُ عَنْہُ বললেন: নিশ্চয় আমার আশা হচ্ছে যেন, আল্লাহ পাক আমাকে ক্ষমা করেন, আর আমি মিস্তাহের رَضِیَ اللهُ عَنْہُ সাথে যে সদাচরণ করতাম, তা কখনও বন্ধ করবো না। অতএব, তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর জন্য আর্থিক সাহায্য-সহয়োগিতা (পুনরায়) চালু করে দিলেন। (খাযায়িনুল ইরফান, ১৫৬৩ পৃষ্ঠা। নেকীর দাওয়াত ১৩০)
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! আমীরুল মুমিনীন হযরত সিদ্দিকে আকবর رَضِیَ اللهُ عَنْہُ তাঁর খালাতো ভাই (অর্থাৎ Cousin) হযরত মিসতাহ বিন উসাসাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে সম্পর্ক ছিন্ন করার শপথ করেছিলেন। কিন্তু যখন এই আয়াতে মোবারকা অবতীর্ণ হলো, তখন তিনি رَضِیَ اللهُ عَنْہُ আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য হযরত মিসতাহ বিন উসাসাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ কে ক্ষমা করে দিলেন। চিন্তা করুন! যদি এমন পরিস্থিতি আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা এরূপ ব্যক্তির সাথে কথাবার্তা, মেলামেশা এমনকি সালাম দেয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিই বরং আমরাতো ছোট-খাটো কথাবার্তায় আত্মীয়-স্বজন থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করি। সুন্দর আচরণ অর্থাৎ ভালো ব্যবহার থেকে বিরত থাকি, আর কথাবার্তা বন্ধ করে দিই। আমাদের সকলের চিন্তা করা উচিত যে, পরিবারে কার কার সাথে মনমালিন্য রয়েছে, তখন জানা হয়ে যাবে যে, যদি শরয়ী কোন প্রতিবন্ধকতা না থাকে, তবে তাড়াতাড়ি আত্মীয়-স্বজনদের সংশোধন ও আপোষের ব্যবস্থা শুরু করে দিন। যদি নতও হতে হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্য নত হয়ে যান, اِنۡ شَآءَ الله সুউচ্চ মর্যাদা পাবেন। নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেছেন: “مَنْ تَوَاضَعَ لِلّٰہِ رَفَعَہُ اللهُ অর্থাৎ যে আল্লাহ পাকের (সন্তুষ্টির) জন্য বিনয়ী হয়, আল্লাহ পাক তাকে সুউচ্চ (মর্যাদা প্রদান) করেন।” (শুয়াবুল ঈমান, ৬/২৭৬ পৃষ্ঠা, হাদীস: ৮১৪০) নিজের বেষ্টনীতে ও সমাজ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে পরিণত করতে নিজের নিকট আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সুন্দর আচরণ ও আত্মীতার সম্পর্ক সুরক্ষিত করবে অভ্যাস গড়ুন। আর যতটুকু সম্ভব সম্পর্ক ছিন্ন করা থেকে বাঁচার চেষ্টা করুন। কেননা, অন্যান্য গুনাহের বোঝা শুধুই গুনাহকারীর উপর আসে,