Book Name:Sila Rehmi
আত্মীয়দের সাথে ভালো আচরণের দ্বারা উদ্দেশ্য এটা নয় যে, সে তোমার সাথে ভালো আচরণ করে তুমিও কারো, প্রকৃত পক্ষে বিষয়টা অদল-বদল। সে তোমার কাছে জিনিস পাঠালো তুমিও তার কাছে জিনিস পাঠালে, সে তোমার কাছে আসলো তুমিও তার কাছে গেলে। প্রকৃত পক্ষে আত্মীয়দের সাথে ভালো আচরণ হলো এটাই, সে ভাঙ্গে তুমি জোড়া লাগাও। সে তোমার কাছ থেকে পৃথক থাকতে চায়, গুরুত্ব দেয় না, আর তুমি তার সাথে আত্মীয়তার হকের দিকে মনযোগ দাও। (রদ্দুল মুহতার, ৯/৬৭৮)
আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার বাস্তবতা:
তাজেদারে রিসালাত, শাহানশাহে নবুয়ত, صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “সম্পর্ক রক্ষাকারী সে নয়, যে এই অদল-বদলটি করে। কিন্তু সম্পর্ক রক্ষাকারী সে, যখন তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়, কিন্তু সে তা সংযুক্ত করে।” (বুখারী, ৪/৯৮, হাদীস: ৫৯৯১) অন্য আর এক হাদীসে পাকে রয়েছে: “ঐ সমস্ত লোকদের সাথে একত্রিত হয়ো না, যারা এটা বলে যদি মানুষ আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করলে আমরাও ভাল আচরণ করবো এবং যদি মানুষ আমাদের প্রতি অত্যাচার করে, তবে আমরাও প্রতিশোধ মূলক অত্যাচার করবো। বরং নিজেকে এ কথার অভ্যস্ত করুন যে, মানুষ যদি ভালো আচরণ করে তবে তোমরাও তার সাথে ভালো আচরণ করো, আর যদি লোকেরা তোমার সাথে খারাপ আচরণ করে তখনো তোমরা জুলুম করো না।” (তিরমিযী, ৩/৪০৫, হাদীস: ২০১৪)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! উভয় হাদীস যা এইমাত্র আমরা শুনলাম, তা থেকে জানতে পারলাম যে, আত্মীয়তার বন্ধনের সঠিক উদ্দেশ্য হলো এটাই যে, যদি আমাদের উপর জুলুমও করে তার পরও আমরা তাকে ক্ষমা করে দিবো। আমাদের উচিৎ, যদি আমাদের ঐ আত্মীয় যে আমাদের কাছ থেকে বিমুখ হয়ে রয়েছে, বছরের পর বছর সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে অথবা সামান্য কথাতে সম্পর্ক ছিন্ন করে রেখেছে তবে আমাদের তাদেরকে গিয়ে বুঝানো উচিৎ এবং ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।
এটা বাস্তব যে, এগুলো আমাদের নফসের জন্য খুব কঠিন হবে, আর শয়তান কখনো একে অপরের মাঝে মীমাংসা করতে দিবে না এবং আমাদের মনে বিভিন্ন ধরণের কুমন্ত্রণা দিবে যে, কেন আমি এর ঘরে যাবো? যে আমাদের ঘরে পা রাখতে চায় না বা