Book Name:Sila Rehmi
সদরুশ শরীয়া, মুফতী মুহাম্মদ আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: সমস্ত উম্মত এ কথার উপর একমত যে, আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ওয়াজিব, আর সম্পর্ক ছিন্ন করা হারাম। হাদীস সমূহের মধ্যে কোন প্রকার শর্ত ছাড়াই আত্মীয়দের সাথে ভালো আচরণ করার হুকুম এসেছে। কুরআন শরীফের মধ্যে কোন প্রকার শর্ত ছাড়াই আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এ কথা আবশ্যক যে, সম্পর্কের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে, তেমনি ভাবে আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো আচরণের পর্যায়ের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে। পিতা মাতার মর্যাদাটা সবচেয়ে বড়, তাদের পরে ঐসব আত্মীয়-স্বজন যাদের সাথে বংশীয় ভাবে সম্পর্ক হওয়ার কারণে সব সময়ের জন্য বিয়ে হারাম, এরপর অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন। সম্পর্কের পর্যায় অনুসারে আত্মীয়-স্বজনের সাথে ভালো আচরণের পর্যায়টাও ভিন্ন। উদাহরণ স্বরূপ- তাদের হাদিয়া, উপহার দেওয়া ইত্যাদি আর তাদের কোন কথায় তোমার সাহায্যের প্রয়োজন হয়, তবে তাদের সাহায্য করা। তাদের সালাম করা, তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া। তাদের সাথে চলাফেরা করা, তাদের সাথে কথা বলা, তাদের সামনে খুব নম্র ও বিনয়ী ভাবে উপস্থিত হওয়া। যদি ব্যক্তিটি বিদেশে থাকে, তবে আত্মীয়-স্বজনদের কাছে চিঠি পাঠাবে। তাদের কাছে চিঠি লিখা বহাল রাখবে, যাতে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন না হয়। আর যদি সম্ভব হয় দেশে আসবে এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক অটুট করে নাও। এমন করলে ভালবাসা বৃদ্ধি পাবে। (বর্তমানে চিঠি লিখার প্রচলন খুব কম, এজন্য ফোন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করবে। উদ্দেশ্য হলো, পরস্পরের মধ্যে সম্পর্কটা অটুট রাখা, তা যে কোন ভাবেই হোক।)
(বাহারে শরীয়াত, ৩/৫৫৮, ১৬তম অংশ)
আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সম্পর্ক মজবুত করুন!
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপন আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ভালো আচরণের পাশাপাশি তাদের সাথে সম্পর্কের মধ্যে সব সময় খেয়াল রাখা। তাদের সাহায্য ও সেবা-যত্ম করা, সুখ-দুঃখে তাদের সাথে অংশীদার হওয়া। উৎসব ও খাবারের আয়োজনে তাদেরকে দাওয়াত করা, তাদের দাওয়াতে অংশগ্রহণ করা। এভাবে অন্যান্য সব ভালো কাজ আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত।