Book Name:Sila Rehmi
এ বক্রতায় এসে টলমল হয়ে যায়। কিন্তু সাহসের মাধ্যমে কাজ গ্রহণ করুন, আল্লাহ পাকের রহমতের প্রতি দৃষ্টি রাখুন এবং এ হাদীসে পাক; “হিকমত মুমিনের হারানো ধন-ভান্ডার।”) (তিরমিযী, কিতাবুল ইলম, ৪/৩১৪, নং- ২৬৯৬) এর উপর দৃষ্টি রেখে হিকমতে আমলী ও আমানতদারীতার সাথে এমন পদ্ধতি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন যে, যাতে উভয় পক্ষ সংশোধন হয়ে যায় এবং কারো হক নষ্ট না হয়। কেননা, কোন এক পক্ষের কথা মেনে নিলে অবশ্যই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে, যেটা নাজায়েয ও হারাম। আর এমন হুকুম মানা শরীয়াতে জায়েয নেই, যার কারণে আল্লাহ পাকের নাফরমানি হয়ে যায়। যেমন ভাবে, নবী করীম, রউফু রহীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: “لَا طَاعَةَلِمَخْلُوقٍ فِي مَعْصِيَةِ الْخَالِقِ অর্থাৎ আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টিতে কোন সৃষ্টির অনুসরন জায়েয নেই।” (মু’জামু কবীর, ১৮/১৭০, হাদীস: ৩৮১)
صَلُّوْا عَلَی الْحَبِیْب! صَلَّی اللهُ عَلٰی مُحَمَّد
কবরস্থানে উপস্থিত হওয়ার সুন্নাত ও আদব:
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আসুন! শায়খে তরীকত, আমীরে আহলে সুন্নাত دَامَتۡ بَرَکَاتُہُمُ الۡعَالِیَہ এর পুস্তিকা “১৬৩ মাদানী ফুল” এর ৩৬নং পৃষ্ঠা থেকে কবরস্থানে উপস্থিত হওয়ার সুন্নাত ও আদব শ্রবণ করি: প্রথমে প্রিয় নবী হুযুর পূরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ’র একটি হাদীসে মোবারাক শ্রবণ করি: “আমি তোমাদেরকে (প্রথমে) কবর যিয়ারত করা থেকে নিষেধ করেছিলাম। এখন তোমরা কবর যিয়ারত করো কেননা, সেটা দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তির কারণ, আর আখিরাতকে স্মরণ করিয়ে দেয়।” (ইবনে মাজাহ্ ২/২৫২ পৃষ্ঠা, হাদীস: ১৫৭১) * (অলী-আল্লাহর মাজার শরীফ) বা কোন মুসলমানের কবর যিয়ারতের জন্য যেতে চাইলে মুস্তাহাব হচ্ছে, প্রথমে নিজের ঘরে (মাকরূহ ওয়াক্ত না হলে) দুই রাকাত নফল নামায আদায় করা, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে একবার আয়াতুল কুরসী ও তিনবার সূরা ইখলাস পড়ে এ নামাযের সাওয়াব সাহিবে কবরকে পৌছিয়ে দেয়া। আল্লাহ পাক সেই মৃত ব্যক্তির কবরে নূর সৃষ্টি করবে এবং এ (সাওয়াব প্রেরণকারী) ব্যক্তিকে অনেক বেশী সাওয়াব প্রদান করবেন। (ফতোওয়ায়ে আলমগীরি, ৫ম খন্ড, ৩৫০ পৃষ্ঠা) * মাজার শরীফ বা কবর যিয়ারতের জন্য যাওয়ার সময় রাস্তায় অনর্থক কথায় মশগুল হবেন না। (প্রাগুক্ত) *