Sila Rehmi

Book Name:Sila Rehmi

কোন অপরিচিত ব্যক্তিও যদি দাওয়াত ছাড়া চলে আসে, তবে তাকে বের করে দেওয়া অসভ্য আচরণ আর বড় চাচাতো বাবার স্থলাভিসিক্ত মোটকথা সত্য মিথ্যা বলে উভয়কে রাজি করার মধ্যেও সাওয়াব রয়েছে যায়েদের পক্ষ থেকে তার বোনের প্রতি বাক্য আমি তাকে আমন্ত্রণ করবো নাবলার উদ্দেশ্য আমি নিজে তাকে আমন্ত্রণ করতে যাবো না যদি ব্যক্তি চিঠি পাঠিয়ে দেয়, তিনি চলে আসার এই উদ্দেশ্যও না যে, তিনি পায়ে হেঁটে চলে আসবে না, না আমি তাকে উঠিয়ে নিয়ে আসবো, দুটিই বুঝাচ্ছে সত্য মিথ্যার দ্বারা উদ্দেশ্য যেটার প্রকাশ্যটা মিথ্যা আর উদ্দেশ্যগত অর্থ সত্য যেটাকে আরবীতে توریہ তাওরিয়া বলা হয় হাদীসের ফরমান রয়েছে: اِنَّ فِى الْمَعَارِيضِ لَمَنْدُوحَةً  عَنِ الْكَذِبِ۔ অর্থাৎ নিঃসন্দেহে ইশারায় কথাবার্তা মিথ্যা থেকে মুক্তি

(আস সুনানুল কুবরা১০/৩৩৬, হাদীস: ২০৮৪৩)

    প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! আপনারা শুনলেন তো! সায়্যিদী লা হযরত رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ প্রশ্নকারীকে শরীয়াতের প্রয়োজন অনুসারে তাওরিয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন শরীয়াতের অক্ষমতার উপর ভিত্তি করে মানুষ তাওরিয়া করে মিথ্যা থেকে বেঁচে যায় কিন্তু স্মরণ রাখবেন! তাওরিয়া করার বিশেষ দিক রয়েছে প্রয়োজন ছাড়া তাওরিয়া করা শরয়ী ভাবে জায়েয নেই যেমন ভাবে সদরুশ শরীয়া, মুফতী আমজাদ আলী আযমী رَحْمَۃُ اللهِ عَلَیْہِ বলেন: তাওরিয়া অর্থাৎ শাব্দিক যেটা প্রকাশ্য অর্থ রয়েছে সেটা ভুল, কিন্তু বক্তা অন্য অর্থ নেয় যেটা সঠিক এমনটি করা কোন প্রয়োজন ছাড়াই জায়েয নেই যদি প্রয়োজন হয় তবে জায়েয 

    তাওরিয়ার উদাহরণ এটাই যে, তুমি কাউকে খাবার খাওয়ার জন্য আহ্বান  করেছো, সে বলল: আমি খাবার খেয়ে নিয়েছি এটার প্রকাশ্য অর্থ এটাই যে, এই মূহুর্তের খাবার খেয়ে নিয়েছি কিন্তু সে যদি এটা উদ্দেশ্য নেয় যে, আমি সব খেয়ে নিয়েছি, এটা মিথ্যার মধ্যে প্রবেশ হবে (এজন্য এখানে তাওরিয়া করাটা জায়েয হবে না)

(বাহারে শরীয়াত, ১৬তম অংশ, /৫১৮)

    ফতোওয়ায়ে রযবীয়ার প্রশ্নের জবাবে এটাও জানা গেলো যে, কোন এক আত্মীয়ের কথার দ্বারা শরয়ী কারণা ছাড়া অন্য আত্মীয়ের সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করা শরীয়াতে নিষেধ। সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হয়ে যায় এবং বড় বড় পা পর্যন্ত