Haqooq Ul Ibad Seerat Un Nabi Ki Roshni Me

Book Name:Haqooq Ul Ibad Seerat Un Nabi Ki Roshni Me

যিনি তাঁর ৬৩ বছরের মোবারক জীবনে কখনো কোন সৃষ্টির সামান্য পরিমাণও হক নষ্ট করেননি, যে ব্যক্তিত্ব তো নিজের বটেই, অন্যের হক আদায়েও অতুলনীয় উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করেছেন, যে ব্যক্তিত্ব জোড় করে নিজের হক চাওয়া ব্যক্তিরও হক আদায় করে দেন বরং তার চাওয়া থেকেও বেশি তাকে প্রদান করেন, যাঁর স্বত্বা থেকে এটা কল্পনাও করা যায় না যে, নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم কখনো কারো হক নষ্ট করেছেন বা হক আদায়ে গড়িমসি করেছেন, যে ব্যক্তিত্ব সময়ের পূর্বেই নিজের হক চাওয়া ব্যক্তিদের প্রতি অসন্তুষ্ট হওয়ার পরিবর্তে সর্বদা ধৈর্য সহিষ্ণুতাই প্রদর্শন করতে গিয়ে তাদের হক আদায় করে করেছে, যাঁর মুবারক আচরণ দেখে এবং বাণী শ্রবণ করে সাহাবায়ে কিরাম عَلَیْہِمُ الرِّضْوَان বান্দার হকের গুরুত্ব অনুধাবন এবং বান্দার হক আদায় করতে থাকেন, মহান ব্যক্তিত্বের সরলতা, বিনয়, আখিরাতের ভাবনা এবং খোদাভীতিতে আমাদের প্রাণ উৎসর্গিত, কেননা ভরা সমাবেশে মানুষকে শুধু নিজেদের হক নিয়ে নেয়া বা ক্ষমা করে দেয়ার কথা উল্লেখ করেননি বরং মানুষকে আখিরাতের হিসাব সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়ে পরস্পরের হক আদায়েও উৎসাহ প্রদান করেছেন সুতরাং যদি আমরা কখনো জেনে শুনে বা না জেনে কোন মুসলমানের হক নষ্ট করে থাকি বা কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি তবে সাথে সাথে ক্ষমা চেয়ে নেয়া উচিৎ

 

বান্দার হক আবশ্যক হওয়ার কারণ

    মনে রাখবেন! হক দুই ধরনের হয়ে থাকে: () আল্লাহ পাকের হক