Book Name:Hajj Ke Fazail
আয়াতের তাফসীর খাযায়িনুল ইরফানে রয়েছে: এই আয়াতে হজ্ব ফরয হওয়ার ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে আর এর জন্য সামর্থ্যবান হওয়া শর্ত। হাদীস শরীফে প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর বিস্তারিত বর্ণনা করে ইরশাদ করেন: সফরের প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও খাবারের এতটুকু ব্যবস্থা থাকতে হবে যে, হজ্বে গিয়ে ফিরে আসা পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ থাকে আর ফিরে আসার সময় পর্যন্ত পরিবার পরিজনের প্রয়োজনীয় সামগ্রীও থাকতে হবে, রাস্তা বিপদ মুক্ত থাকাও জরুরী, কেননা এগুলো ছাড়া সামর্থ্যবান হওয়ার শর্ত পূরণ হবে না। এর দ্বারা আল্লাহ পাকের অসন্তুষ্টি প্রকাশ পায় আর এই মাসয়ালাও প্রমাণিত হয় যে, ফরযের অস্বীকারকারী কাফির।
হজ্বের সংজ্ঞা
তাফসীরে সীরাতুল জিনান -এ রয়েছে: হজ্বের নাম হচ্ছে; ইহরাম বেঁধে ৯ই যিলহজ্বে আরাফাতে অবস্থান করা আর কাবা শরীফের তাওয়াফ করা। এর জন্য বিশেষ সময় নির্ধারিত আছে, এর মধ্যে এই কাজগুলো সম্পাদন করে তবে তা হলো হজ্ব। হজ্ব ৯ম হিজরিতে ফরয হয়েছে, এটা অকাট্যভাবে ফরয, এটা ফরয হওয়ার বিষয়টি অস্বীকারকারী কাফির।
(বাহারে শরীয়াত, ৯ম অংশ, ১/১০৩৫-১০৩৬)
হজ্বের ফরয সমূহ: (১) ইহরাম বাঁধা, (২) আরাফায় অবস্থান করা, (৩) তাওয়াফে যিয়ারত করা।
হজ্ব তিন প্রকার: (১) ইফরাদ অর্থাৎ শুধুমাত্র হজ্বের উদ্দেশ্যে ইহরাম বাঁধা হয়। (২) তামাত্তু’ অর্থাৎ প্রথমে ওমরার