Book Name:Hajj Ke Fazail
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! মনে রাখবেন! হজ্ব ও ওমরা এবং মদীনা শরীফের হাজিরির নিয়্যতে যাওয়া অনেক বড় সৌভাগ্যের ব্যাপার, নিঃসন্দেহে আল্লাহ পাকের অনেক বড় নেয়ামত, হারামাঈ তয়্যিবাঈনের সফরকারীর সব সফরে আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত অবতীর্ণ হয়ে থাকে, প্রতিটি কদমে নেকীর সৌভাগ্য নসীব হয়, আর যখন এই সৌভাগ্যবান মুসাফির হারামাঈ তয়্যিবাঈনে পৌঁছে তখন যেন তার ভাগ্যের নক্ষত্র একেবারে সুউচ্চে অবস্থান করে। এরূপ যদি সৌভাগ্য হতো! এই মোবারক সময়ে এই পবিত্র স্থানেই হায়াত ফুরিয়ে যেতো আর জান্নাতুল বাক্বী শরীফে দাফন নসীব হয়ে যায়, তবে তার সৌভাগ্যকে কি ভাষায় প্রকাশ করবো। আর যদি ফিরে আসতেও হয়, তবে অন্তরে আবার যাওয়ার আকাংখা থাকাও প্রশান্তির মাধ্যম। মোটকথা! সেখানে থাকা অবস্থায় মৃত্যু নসীব হওয়া বা কোন রাস্তায় মৃত্যু আসা অথবা ফিরে আসতে হলেও সৌভাগ্যই সৌভাগ্য। যেমন- হযরত জাবের বিন আবদুল্লাহ رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; নবী করীম صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: এই ঘর (অর্থাৎ বাইতুল্লাহ) ইসলামের স্তম্ভ, যে হজ্ব বা ওমরাকারী নিজের ঘর থেকে বাইতুল্লাহ শরীফের নিয়্যতে বের হলো, যদি সে মরে যায় তবে আল্লাহ পাকের বদান্যতায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন আর যদি সে (হজ্ব করে) ফিরে আসে তবে প্রতিদান ও গণিমত সহকারে ফিরবে। (মু’জামু আওসাত, ৬/৩৫২, হাদীস: ৯০৩৩। ফিরদৌসুল আখবার লিল দায়লামী, ২/৩৮২, হাদীস: ৭২০৮)
হযরত আনাস رَضِیَ اللهُ عَنْہُ থেকে বর্ণিত; আল্লাহ পাকের সর্বশেষ নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে ব্যক্তি দুই