Book Name:Hajj Ke Fazail
হেরমের (অর্থাৎ মদীনা মুনাওয়ারা ও মক্কা মুয়াযযমার) মধ্য থেকে কোন একটিতে মৃত্যু বরণ করবে, কিয়ামতের দিন তাকে মুক্তি প্রাপ্তদের সাথে উঠানো হবে, আর যে সাওয়াবের নিয়্যতে মদীনায় আমার যিয়ারতের জন্য আসবে সে কিয়ামতের দিন আমার প্রতিবেশীর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে।
(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফিল মানাসিক, ফযলুল হজ্ব ওয়াল ওমরা, ৩/৪৯০, হাদীস: ৪১৫৮)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর رَضِیَ اللهُ عَنْہُمَا থেকে বর্ণিত; প্রিয় নবী, হুযুর পুরনূর صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم ইরশাদ করেন: যে মদীনায় মৃত্যু বরণ করার সামর্থ্য রাখে সে যেন মদীনাতেই মৃত্যু বরণ করে। কেননা, যে মদীনায় মৃত্যু বরণ করবে আমি তার জন্য সুপারিশ করবো।
(তিরমিযী, কিতাবুল মানাকিব, বাবু ফি ফাযায়িলে মদীনা, ৫/৪৮৩, নং: ৩৯৪৩)
سُبْحَانَ الله! হারামাঈন তয়্যিবাঈনে মৃত্যু বরণকারীর কেমন সৌভাগ্য যে, আল্লাহ পাক এমন ব্যক্তিকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন আর কিয়ামতের দিন প্রিয় নবী صَلَّی اللهُ عَلَیْہِ وَاٰلِہٖ وَسَلَّم এর শাফায়াত লাভের সাথে সাথে তাঁর প্রতিবেশীত্বও দান করবেন। মনে রাখবেন! মক্কা ও মদীনার হাজিরীর জন্য সফরে বের হওয়া অনেক বড় সৌভাগ্যের বিষয়, যেমনিভাবে এই সফর মোবারক হয়ে থাকে তাই এটাকে সেটার মর্যাদা অনুযায়ী সম্মান করা উচিত। দুনিয়াবি অন্যান্য সফরের মতো এ সফরকেও শুধুমাত্র ভ্রমণ ও আনন্দ-ফুর্তি হিসাবে গণ্য করা এর মোবারক সময়কে অহেতুকভাবে নিঃশেষ না করা উচিত। বরং এর সম্মান ও গুরুত্বকে অনুধাবন করা উচিত।